বোয়ালমারীর অপহৃত কলেজছাত্রী একমাস পর উদ্ধার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক সংখ্যালঘু কলেজছাত্রীকে অপহরণের একমাস পর গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে বোয়ালমারী থানা পুলিশ। এ সময় অভিযুক্ত অপহরণকারীকেও আটক করা হয়েছে।

ওই ছাত্রীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল গ্রামে। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম শেখ একই ইউনিয়নের সুতালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

বোয়ালমারী থানা সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ছাত্রী বোয়ালমারী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কলেজে আসা যাওয়ার পথে অভিযুক্ত ইব্রাহিম প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। গত ৮ সেপ্টেম্বর সহস্রাইল বাজারে কেনাকাটা করতে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা ইব্রাহিম তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

সেখানে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে ইব্রাহিম। ইব্রাহিম ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা। গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন তিনি।

মেয়েটির পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপহৃতার মা চারজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার দত্তপাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ইব্রাহিম শেখকেও আটক করা হয়। বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আশুতোষ ভৌমিক, সাইফুদ্দিন আহমেদ ও দীপংকর সান্যালের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়।

মেয়েটির মা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী ও অসহায়। আমার নাবালিকা মেয়েকে আটকে রেখে দিনের পর দিন নির্যাতন করেছে। আমি ওই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে বুধবার দুপুর ২টায় ফরিদপুরের আমলি আদালতে হাজির করলে বিচারক নাজমুস সাহাদাত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, অপহরণের প্রধান আসামি ইব্রাহীমকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে অপহরণের পাশাপাশি ধর্ষণের মামলাও হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/কেএম)