নোয়াখালীতে আগুনে গৃহবধূর মৃত্যু: সাতজনের নামে মামলা

নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে ঘরে আগুন দিয়ে সৎ মাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় নিহত গৃহবধূর সৎ ছেলে কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক শামীম হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিহত আসমা বেগমের বাবা আবুল কাশেম সুধারাম মডেল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। মামলায় কামাল উদ্দিন ও শামীমসহ তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শামীম হোসেন ছালেপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এমদাদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার ২ নম্বর আসামি শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন ও ৩ নম্বর আসামি তারেক হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় রয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, কালাদরাপ ইউনিয়নের রামহরিতালুক গ্রামের প্রবাসী ইসমাইল হোসেন বাবুলের প্রথম সংসারের বড় ছেলে কামাল উদ্দিনের সঙ্গে তার সৎ মা আসমা বেগমের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই ঘটনার জেরে গত সোমবার সকালে ১০টার দিকে বাড়িতে গিয়ে শ্যালক শামীম হোসেনের সহযোগিতায় দুই বোতল অকটেন ঘরের মধ্যে ঢেলে দেন কামাল। এরপর শামীমের বন্ধু তারেক দিয়াশলাই দিলে কামাল তা দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন।

আগুনে ঘরে থাকা আসমা বেগম এবং ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কামালও দগ্ধ হয়। এসময় আসমা ও কামালকে উদ্ধার করতে তাদের স্বজনরা এগিয়ে আসে। উদ্ধারকারীদের মধ্যে তারেক, মান্নান, সুমন দগ্ধ হন হন। দগ্ধদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আছমা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আসমা মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/কেএম)