চলনবিলে বাউত উৎসবে হাজারো মানুষের ঢল

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২০, ০০:২৩ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২০, ২০:৪৫

চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার চাটমোহর উপজেলা। বিল ও নদ-নদীবেষ্টিত এই উপজেলার মানুষ বর্ষা শেষে মহা ধুমধামে মাছ শিকার করেন। যারা মাছ ধরেন তাদের বলা হয় ‘বাউত’। তাই স্থানীয় ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব’।

দীর্ঘবছর ধরে চলে আসা এই এতিহ্য কালের গর্ভে হারানোর পথে। তবে এখনো বর্ষার পর শীতের শুরু থেকে মাছ শিকারের উৎসব নিয়মিত চলে আসছে।

প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার নানা ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকারে নেমে পড়েন শিশু-কিশোর, চিকিৎসক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি পেশার সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। সবার হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। শুধু চাটমোহর নয়, মঙ্গলবার বাউত উৎসবে পাবনা, পাশের জেলা নাটোরের বনপাড়া, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, উল্লাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার সৌখিন মৎস্য শিকারিরা বাউত উৎসবে এসেছিলেন। হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল বিল পাড়ে।

উপজেলার খলিশাগাড়ি বিল, ডিকশির বিল, কুড়িল বিল, সাঁড়োরা বিল, জিয়ল গাড়ি বিল, গুমানী নদী, করতোয়া নদী, ভাঙ্গুড়ার রুহুল বিলে চলে এই মাছ ধরার ‘বাউত উৎসব’। মাছ পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এই উৎসবে যোগ দিয়ে আনন্দ উপভোগ করাটাই সবার কাছে মুখ্য বিষয়।

উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের ইছাহক আলী, গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা গ্রামের মানিক হোসেন, তাড়াশের সাজ্জাদ হোসেনসহ একাধিক সৌখিন মৎস্য শিকারি বলেন, প্রতিবছর এই সময়টা আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ বিলপাড়ে একসঙ্গে হাজারো মানুষের আনাগোনা হয়। মাছ সবাই পায় না। কিন্তু একজন পেলে সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকেন বলে জানান তারা।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :