‘প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছি’
প্রতিপক্ষের হিংসায় ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ গ্রুপের চেয়াম্যান এরশাদ আলী। একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকতার রোষানলের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই শিল্পপতি বলেন, ‘ওই ব্যাংক কর্মকর্তা গুলশান এলাকায় প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আমার কাছে বিক্রি করার পরও হস্তান্তর না করে বেআইনিভাবে জোরপূর্বক নিজে ভোগদখল করে আসছেন। ফ্ল্যাটটি বুঝে পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর নানা ধরনের তথ্য প্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। একপর্যায়ে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষকে আমার বিরুদ্ধে উস্কে দেন।’
এরশাদ আলী বলেন, ‘প্রকৃত সত্য হলো, আমি কোনো ব্যাংকের টাকা লোপাট করিনি। বরং ব্যাংক থেকে যেসব লোন নিয়েছি তার বিপরীতে ব্যাংকের কাছে আমার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ দায়বদ্ধ আছে। একইভাবে আমার সব ব্যাংকের হিসাব পূনঃতফসিল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করায় দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমাদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এর মধ্যে মীর সিমেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে তিনবার অ্যাওয়ার্ড লাভ করি। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপ, সেনা কল্যাণ সংস্থা, সেভেন রিং সিমেন্ট ইত্যাদি কোম্পানির ডিলার হিসেবে তাদের উৎপাদিত সিমেন্ট বাজারজাত করায় সেসব কোম্পানি থেকেও একাধিক পদক প্রদান করা হয়।’
এসব পদক সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অন্যান্য মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করে সরবরাহ করে আসছে। পদ্মা মেজর ব্রিজ প্রজেক্ট থেকে বেস্ট পাথর সাপ্লাইয়ারার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন সার্টিফিকেট পেয়েছি। বর্তমানে পদ্মা ব্রিজের রেল লিংক প্রজেক্টসহ চিনো-হাইড্রো ইত্যাদি প্রকল্পে আমার প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পাথর সরবরাহ চলমান রয়েছে।’
শিল্পপতি এরশাদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এই সুযোগে একটি মহল আমাকে আত্মগোপন দেখিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে।’
নিজের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে আমার শত শত কোটি টাকা বিল পাওনা রয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে এ বিল উত্তোলনে অনিশ্চিয়তাসহ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারাতে বসেছি। অথচ আমি উধাও নই এবং ভবিষ্যতেও উধাও হওয়ার পরিকল্পনা নেই। আমি ব্যাংক থেকে যে সব লোন গ্রহণ করেছি তা দেশেই আমার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছি। দেশের বাইরে কোনো সম্পদ তৈরি করিনি এবং দেশেও ব্যাংকয়ের হিসেবের বাইরে আর কোনো সম্পত্তি নেই। এছাড়া সকল ব্যাংকের সঙ্গেও ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক রয়েছে।’ এ বিষয়ে যেকোনো সময় যেকোনো সংস্থা যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি প্রস্তুত আছেন বলে জানান।
(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এএ/জেবি)