সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনার আমতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি.এম মুসার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমতলী সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়।

এতে সাংবাদিক ও সুশীলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ গত ২২ মার্চ এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। ওই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা ওই চায়ের দোকানে প্রবেশকালে পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তার ধাক্কা লাগে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশ কর্মকর্তার উপর ক্ষেপে যান। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা ফাহাদ পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায় তাকে লাঞ্ছিত করে যুবলীগ নেতা ফাহাদ- এমন দাবি মুক্তিযোদ্ধার। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ফাহাদকে মারধর করে নুরুল ইসলামের লোকজন। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ রাতে ফাহাদ বাদী হয়ে আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা করেন। ঘটনার চার দিন পর ২৬ মার্চ রাতে শাহাবুদ্দিন শিহাব নামে একজন সাংবাদিক জিএম মুসাকে আসামি করে মামলা করেন।

সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যপাী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, জাকির হোসেন, পরিতোষ কর্মকার, আমতলী সাংবাদিক সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন সিকদার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুহু-উল-আলম নবিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নাশির মাহমুদ, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন হাওলাদার, হোসাইন আলী কাজী, নারী সাংবাদিক নাসরিন শিপু, কেএম সোহেল, মনিরুজ্জামান সুমন আকন, খাইরুল ইসলাম আকাশ, এইচএম কাওসার মাতুব্বর মাদবর ও মহসিন মাতুব্বর প্রমুখ।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মামলাটি বরগুনা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আবুল বাশার বলেন, মামলাটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/পিএল)