প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ডাসারবাসীর স্বপ্নপূরণ

সৈয়দ আবুল হোসেন
| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ২০:৩৪ | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২১, ২০:২২

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী। আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন। স্মরণীয় দিন। সৌভাগ্যের দিন। গৌরবের দিন। অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত ডাসার উপজেলা গঠিত হলো। নিকার সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাসার উপজেলার অনুমোদন দিলেন। বাংলাদেশের মানচিত্রের ডাসার উপজেলা সৃষ্টি করলেন। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হলো। ডাসাবাসীর মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো। ডাসার উপজেলা সৃষ্টিতে মাদারীপুর জেলা সি গ্রেড থেকে বি গ্রেডে উন্নীত হল। মাদারীপুর জেলার মর্যাদা বাড়ল। মাদারীপুর জেলার বাজেট বরাদ্দও বাড়বে। ডাসার উপজেলা সৃষ্টির ফলে আজ ডাসাবাসী আনন্দিত।

কালকিনি উপজেলার গোপালপুর, বালীগ্রাম, কাজীবাকাই, ডাসার ও নবগ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে ডাসার উপজেলা সৃষ্টি হয়েছে। কালকিনি উপজেলার ত্যাগের মহিমায় আজ ডাসার উপজেলা। এই ত্যাগের মহিমায় কালকিনিবাসী গর্বিত । কালকিনি উপজেলার অবদানে ডাসার উপজেলা সৃষ্টির কারণে মাদারীপুর জেলার মর্যাদা বাড়ল। মাদারীপুর জেলা সি গ্রেড থেকে বি গ্রেডের মর্যাদা পেল। এজন্য মাদারীপুরবাসীও সম্মানিত হলো। কালকিনি ডাসার জনগণ ও সম্মানিত হলো। ডাসার-কালকিনিসহ সমগ্র মাদারীপুর জেলার জনগণ আজ খুশির বন্যায় ভাসছে। এই বিরল মর্যাদাদানের জন্য মাদারীপুরবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আরোও আবদ্ধ হলেন।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী, মাদারীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত মাদারীপুর জেলা। রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ বাংলার প্রবেশমুখ মাদারীপুর জেলা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় গুরুত্ব বিবেচনায় অবিলম্বে মাদারীপুর জেলা বিশেষ মর্যাদা পাবে।

কালকিনি জেলার ত্যাগের মহিমায় ডাসার উপজেলা সৃষ্টি হয়েছে। এই ডাসার উপজেলার সৃষ্টির অনুকরণে মাদারীপুর জেলার বিদ্যমান অন্য তিনটি উপজেলার অংশ নিয়ে আমার মতো উদ্যোগী হয়ে যদি আরও তিনটি নতুন উপজেলা গঠন করা হয় তাহলে মাদারীপুর জেলার মর্যাদা আরো উন্নীত হবে। প্রিয় মাদারীপুর জেলার ভাই-বোনদের মনে রাখতে হবে কালকিনি উপজেলার মধ্যে ডাসার উপজেলা সৃষ্টির কারণে মাদারীপুর জেলা সি গ্রেডে থেকে বি গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। এই অবদান কালকিনি ও ডাসার উপজেলার। কালকিনি ও ডাসার এই অবদান মাদারীপুর জেলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী, প্রবাদ আছে- ‘কাজ শুরু করাই হল সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’ আমি ডাসার উপজেলা সৃষ্টির স্বপ্ন দেখেছিলাম। উপজেলা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম, বাধা পেয়েছি। বাধাকে উপেক্ষা করে, বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হয়েছি। আমি জানি, সুকীর্তি বা সুকর্ম কখনো হারিয়ে যায় না। আজ সফল হয়েছি। আল হাদিসে বর্ণিত আছে, যার দ্বারা মানুষের উপকৃত হয় মানুষের কাছে তিনি উত্তম ব্যক্তি। ডাসার উপজেলা সৃষ্টিতে কালকিনি ডাসারসহ মাদারীপুর জেলার মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ। তাই মাদারীপুরবাসীর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উত্তম ব্যক্তি, সর্বোত্তম ব্যক্তি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই। গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই। গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী, ডাসার একসময় একটি প্রত্যন্ত গ্রাম ছিল। অবহেলিত গ্রাম ছিল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। বিদ্যুৎ ছিল না। পরবর্তীকালে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। বিদ্যুৎ এল, স্কুল-কলেজ হলো, স্কুল-কলেজের দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করা হলো। শিক্ষানগরী হলো। ডাসারে দর্শনীয় মসজিদ নির্মাণ করা হলো। সুদৃশ্য ঘোড়া বেষ্টিত পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হলো। ডাসারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ল। পর্যটন কেন্দ্রের রূপান্তরিত হলো। ডাসারের নাম, ডাসারের সুখ্যাতি চারিদিকে বিস্তৃতি লাভ করল। ডাসারের উন্নয়নের দৃশ্য অধিকতর দৃশ্যমান হলো। এরপর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হলো, থানা হলো। এসব উন্নয়ন, এসব পরিবর্তন আপনারা নিজ চোখে দেখেছেন।

আজ ডাসার উপজেলা হল। ডাসার বাংলাদেশের প্রশাসনিক সেটাপে যুক্ত হল। উপজেলার উন্নয়ন সেটাপে ডাসার সংযুক্ত হল। এসব কিছু কিভাবে হয়েছে, কার উদ্যোগে হয়েছে, আপনারা তো ভালো করেই জানেন। ডাসার উপজেলা গঠনে বর্তমান মাননীয় চিফ হুইপসহ মাদারীপুর জেলার বর্তমান সম্মানিত সংসদ সদস্যগণ এবং মাদারীপুর জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক মহোদয়, সংশ্লিষ্ট প্রাক্তন জেলা প্রশাসকগণ, সরকারি কর্মকর্তাগণ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রিয় ডাসার কালকিনিবাসী, ডাসার উপজেলা সৃষ্টি এবং মাদারীপুর জেলা সি গ্রেড থেকে বি গ্রেডে আজকের রূপান্তর ছিল আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করেছি। প্রবাদ আছে, ‘সাফল্য ঘটে না, সাফল্য ঘটাতে হয়।’ এ সাফল্য অর্জনে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। শত বাধার পরেও স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করেছি। পরিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডাসার উপজেলা সৃষ্টির অনুমোদন দিলেন। ডাসার উপজেলা বাংলাদেশের মানচিত্রে স্থান পেল। আমাদের স্বপ্নপূরণ হলো আপনাদের স্বপ্ন আলোর মুখ দেখল। এজন্য আমি মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ডাসার উপজেলা বাস্তবায়নে আমি উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমার উদ্যোগ সফল হয়েছে। আজ ডাসার উপজেলা সৃষ্টি হয়েছে। ডাসার উপজেলা সৃষ্টিকে আমি ভালোবাসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অনুমোদন দিয়ে এই সৃষ্টিকে জীবন্ত করেছেন। তার এই সৃষ্টিকে তিনি ভালোবাসেন, বাংলাদেশকে ভালবাসেন, বাংলাদেশের জনগণকে ভালবাসেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইনশাল্লাহ সুযোগ মতো ডাসারে আসবেন।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি -মাদারীপুরবাসী, ডাসার উপজেলা গঠনের একটি ইতিহাস আছে। একটি গল্প আছে। এই ইতিহাস গল্প আপনাদের জানা। আপনাদের অজানা কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। সেই ইতিহাসের সমাপ্তি সফলতা দিয়ে। সফলতা দিয়ে শেষ হলেও উপজেলার বাস্তবায়নে আমি বারবার বাধার মুখে পড়েছি। কে বা কারা বাধা দিয়েছেন তা আপনারা জানেন। ২০১৭ সালে উপজেলা গঠনের প্রক্রিয়া শেষে হয়। প্রস্তাবনাটি উপস্থাপন করা হয়, নিকারে অনুমোদন না পেয়ে প্রস্তাব ফেরত আসে। তারপরও আমি থেমে যায়নি আবার চেষ্টা শুরু করি নতুন করে কার্যক্রম হাতে নেই।

রবার্ট ব্রুস এর সেই কথা, ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার।’ সেই মন্ত্রে উজ্জীবিত হই। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখি। যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য সৎ, তাই আমরা সফল হয়েছি। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কথা প্রণিধানযোগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই হৃদয় স্পর্শী কথা আমি অন্তরে ধারণ করেছি। তিনি বলেছেন, বাঙালি কখনো হারেনি। আমরা কখনো হারবোনা। এই আত্মবিশ্বাস সবাইকে রাখতে হবে।’ আমরাও হারবো না। আমরাও হারিনি। আজ ডাসার উপজেলা হয়েছে। আমাদের জয় হয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো প্রবল হয়েছে। আরও মজবুত হয়েছে। আমাদের কেউ হারাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী, ডাসার আমার গ্রাম। কালকিনি আমার প্রাণ। মাদারীপুর আমার আইডেন্টিটি। মাদারীপুর আমার গর্ব। মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত। ছোটবেলায় আমি ডাসারের মানুষের দুঃখ দেখেছি। কালকিনির দুরবস্থা দেখেছি। মাদারীপুর জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তা দেখেছি।

কৃত্রিম আশা নদীর দ্বারা মাদারীপুর শরীয়তপুরের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা দেখেছি। আড়িয়াল খাঁ নদী দ্বারা মাদারীপুর সদরের সাথে খোয়াজপুর টেকেরহাটের বিচ্ছিন্নতা দেখেছি। পালকদির নদীর দ্বারা কালকিনির সাথে শিকারমঙ্গলের বিচ্ছিন্নতা দেখেছি। কালকিনির রমজানপুরের সাথে গৌড়নদীর টর্কি বন্দরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতাও দেখেছি। মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে অবস্থিত সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হতে লক্ষ্মীপুর বাঁশগাড়ি, খাসেরহাটের যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা আমি দেখেছি।

মাদারীপুর সদর উপজেলার কুলপদ্দির সাথে কালকিনি উপজেলার মধ্যে স্বল্প সময়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল না। বিদ্যমান কাঁচা রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে পারত না। সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুবই নাজুক। এছাড়া আড়িয়াল খাঁ নদীর দ্বারা কালকিনির এনায়েত নগর থেকে খাসেরহাট বন্দরের বিচ্ছিন্নতা দেখেছি। শিকারমঙ্গল, রমজানপুর, সাহেবরামপুর, কয়েরিয়া, সিটিখান, আলিনগর, এনায়েত নগর, বাঁশগাড়ি ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মধ্যে যোগাযোগের দুরবস্থা দেখেছি। মস্তফাপুর থেকে মাদারীপুর জেলার সদরের সাথে চারলেনের সড়ক আগে ছিল না। মাদারীপুরের ইটেরপোল থেকে কালকিনির পাথুরিয়ার পার হতে ঘোষেরহাট এবং ঘোষেরহাট থেকে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার খাঞ্জাপুরের সাথে সংযোগের কোন শর্টকাট রাস্তা ছিল না। এজন্য মানুষের চলাচলের অসুবিধা আমি অবলোকন করেছি। ভুরঘাটা থেকে কালকিনি উপজেলার সাথে সংযোগ সড়কটিও ছিল নাজুক। ১৯৯১ সালের আগ পর্যন্ত এলাকার এই দুরবস্থা বিদ্যমান ছিল। আজ ২০২১ সালে যাদের বয়স চল্লিশের কাছাকাছি তারা এই এলাকার দুরবস্থা দেখেননি। আমি ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলাম। এ সময় আমার প্রচেষ্টায় সেতু ও সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে এসব যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নিরবচ্ছিন্ন করেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সড়ক নেটওয়ার্কে নিয়ে এসেছি। অনেক নতুন নতুন যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়িত হয়েছে। কালকিনি উপজেলার যেসব স্থাপনা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন বর্তমান দৃশ্যমান, তা আমার গৃহীত পরিকল্পনারই বাস্তবায়ন।

প্রিয় ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরবাসী, শিক্ষাজীবনে এলাকার এই কষ্ট, এই অভাববোধ আমার মনে গেঁথে যায়। স্বপ্ন দেখি ডাসারের উন্নয়নের। কালকিনির উন্নয়নের। মাদারীপুর জেলার উন্নয়নের। আমি লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করি। এলাকার শিক্ষার প্রসার ও এলাকার যোগাযোগ উন্নয়নের কাজ করি। ডাসার কালকিনি মাদারীপুরসহ অন্যান্য অঞ্চলে আমি ১৫০ টি প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তীকালে সরকারিকরণ করা হয়েছে। মাদ্রাসা ও হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। এলাকায় ৬টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মধ্যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়ে মাদারীপুর জেলাকে শিক্ষা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি এনে দিই। কালকিনি ও ডাসারসহ মাদারীপুরের যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করেছি। আপনাদের স্বপ্ন দেখাতে শেখাই। এক্ষেত্রে আমার প্রচেষ্টা রাজনৈতিক জীবন, এমপি ও মন্ত্রিত্ব আমার স্বপ্নপূরণের সহযোগী হয়। উন্নয়নের এই কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, ডাসার উপজেলা আমাদের ঐক্যের প্রতীক। সফলতার প্রতীক। তাই আজ আর কথা নয়, আজ ঐতিহাসিক দিনে আমাদের মধ্যকার সব বিভেদ ভুলে যেতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ মুছে ফেলতে হবে। আলোর মশাল নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এলাকার উন্নয়নের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উপরের দিকে তাকান। আমরা একা নয়, আমাদের সাথে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা আছেন। আমাদের নেতৃত্বের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আছে। আমাদের সাথে কালকিনির জনগণ আছেন। মাদারীপুরের জনগণ আছেন। মানুষের প্রতি আমাদের ভালোবাসা আছে। আমরা ডাসার উপজেলা সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা মাদারীপুর জেলার উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করতে পারব। কালকিনি উপজেলার উন্নয়নে আরো অবদান রাখতে পারব। ডাসার উপজেলা উন্নয়নেও আমরা কাজ করতে পারব। আপনারা ডাসার উপজেলায় আসুন। ডাসার উপজেলার সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

প্রিয় মাদারীপুরবাসী, মাদারীপুর হযরত শাহ মাদারের জেলা, মাদারীপুর হযরত শাহ সৈয়দ ওসমানের জেলা। মাদারীপুর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত জেলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাদাজানের কর্মস্থল ছিল মাদারীপুর। তাদের প্রতি আছে আমাদের কৃতজ্ঞতা। আছে অগাধ শ্রদ্ধাবোধ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি রয়েছে আমাদের অবিচল আস্থা।

আসুন আমরা সবাই মিলে ডাসার-কালকিনি-মাদারীপুরসহ বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন স্বপ্নপূরণে তাকে সহযোগিতা করি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোন।

লেখক: সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :