বৈশ্বিক চরম আবহাওয়া ও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় করণীয়

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
 | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৪, ১৪:১৪

গত এক মাসের অধিক আবহাওয়া এতটাই প্রতিকূলে চলে গেছে যে- মানুষের জীবনযাপন ও কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশেই প্রশান্ত মহাসাগরে এল-নিনোর প্রভাবে উষ্ণ তাপবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় এই বিশাল অঞ্চল এবার প্রচণ্ড দাবদাহে দগ্ধ হচ্ছে। এ সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষের খুব বেশি বৈজ্ঞানিক ধারণা নেই। গণমাধ্যমগুলোতে যদিও প্রতিদিন কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ আবহাওয়ার এই চরম বৈরিতার বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোও সারাদিনই দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোথায় তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে সে সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই অস্বাভাবিক এই তাপপ্রবাহের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে আলোচনাগুলো বোঝেন না, শোনেনও না। অস্বাভাবিক এই তাপমাত্রায় আমাদের মতো দেশে সাধারণ মানুষের কাজকর্ম, চলাফেরা জীবনযাত্রা খুবই ঝুঁকিতে পড়েছে। চিকিৎসকগণ এই অবস্থায় তাপমাত্রা যখন সকালে এবং বিকালে কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে তখন ঘর থেকে বের হওয়া, কাজকর্ম করার পরামর্শ দিচ্ছেন। অধিকাংশ মানুষই তাদের এইসব পরামর্শ মেনে চলতে পারছেন বলে মনে হয় না। জীবন-জীবিকার জন্য বেশিরভাগ মানুষকে ঘর থেকে বের হতে হয়। এদের অনেকেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই এক মাসে বেশকিছু মানুষ মৃত্যুবরণও করেছেন। গৃহপালিত পশু-পাখির ক্ষেত্রেও চরম আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া সময়টি ধানকাটা ও নানা ধরনের ফসল পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয়, তাই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িতরা অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে জীবনঝুঁকিতে পড়েছে, শহরে নিম্ন আয়ের মানুষদেরও অবস্থা একই পর্যায়ে। এইরকম আবহাওয়ার কথা কেউ স্মরণ করতে পারছে না। অথচ আবহাওয়ার সঙ্গেই মানুষের জীবন-জীবিকাসহ সবকিছুকে পরিবর্তিত করে নিতে হয়, সেভাবেই গড়ে তুলতে হয়। আমরাও এই অঞ্চলের এতদিনকার আবহাওয়ায় গড়ে উঠেছিলাম, জীবন-জীবিকায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম, এবার তাতে বড়ো ধরনের পরিবর্তন দেখলেও অভ্যস্ত হওয়া অনেকের পক্ষে সহজ বিষয় নয়। সে কারণেই পদে-পদে আমাদের ধাক্কা খেতে হচ্ছে। কারণগুলো বেশিরভাগ মানুষই জানতে চাচ্ছে না কিংবা গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও অনেকে তা বুঝতেও পারে না। তাছাড়া যে শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা বড়ো হয়েছি তাতে এইসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিষয়গুলো খুব একটা পঠিত হয় না, ধারণাও তাই অনেকে লাভ করে না। সব মানুষই শত শত বছরের পারিবারিক ও সামাজিক বিশ্বাস এবং বোধে বেড়ে ওঠে, তাতেই আস্থা স্থাপন করে, তা তাকে প্রচলিত শিক্ষার মাধ্যমে খুব একটা যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলে না। সে কারণে প্রাকৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক পরিবর্তিত বিষয়গুলো তাদেরকে খুব বেশি স্পর্শ করতে পারে না।

আমরা শিক্ষাকে এখনো এক বা একাধিক সনদ লাভের উদ্দেশ্যেই গ্রহণ করেছি। এই সঙ্গে যে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রকৃতি, দেশি ও বৈশ্বিক নানা বিষয় রয়েছে যা কেবল মাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, তা অতটা গ্রহণ করিনি। মানুষকে সেই অর্জনের মধ্য দিয়ে নিজেকেসহ সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশ্ববাস্তবতায় পরিবর্তিত জ্ঞানের অধিকারী হতে হয়, সেই অভিজ্ঞতাই এবং শিখনফলই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় চরমভাবে অনুপস্থিত রয়েছে। এই অবস্থায় এল-নিনো কী তাই এদেশের বেশিরভাগ মানুষ জানে না। লা-নিনোর সম্পর্কেও একই দুরবস্থা। অথচ এই দুই প্রাকৃতিক বিপরীত জলবায়ু এবার বিশ্বের দেশে দেশে মানুষের ঘাড়ের ওপর চড়ে বসতে যাচ্ছে। এল-নিনো তো বসেই গেছে। তাতে তাপমাত্রা আরো এক মাস অস্বাভাবিকই থাকবে। এরপর যখন লা-নিনার আগমন হবে তখন অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ঘটবে তাতে অতিবন্যায় অনেক অঞ্চলই ভেসে যাবে, তলিয়েও যেতে পারে। প্রকৃতির এই যে উত্থান-পতন; এর অনেককিছুই আমাদের অজ্ঞতা, মূর্খতা, স্বার্থপরতা ইত্যাদির কারণেই ঘটছে এবং ঘটবে। আমরা গাছগাছালি কেটে উজাড় করে দিচ্ছি, জলাধার ভরাট করছি, যত্রতত্র শিল্প কারখানার নামে নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছি, যেগুলোর বর্জ্য এবং রাসায়নিক পদার্থ জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংস করছে। শুধু দখল, ভোগ দখল এবং অট্টালিকা তৈরি করে নিজেদেরকে সমাজের উপরের তলায় তুলে আনার নিশ্চিত ব্যবস্থা করছি! কিন্তু এভাবে সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতা টেকে না, মানুষও বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে না।

শুধু বুদ্ধিমান (হোমো সাপিয়েন) মানবগণই নয়; এর আগে পৃথিবীতে বসবাসকারী মানব পূর্ববর্তী প্রজাতিরগুলোও পৃথিবীর জলবায়ু, আবহাওয়া, প্রকৃতি, অন্যান্য প্রাণীকুল ইত্যাদির সঙ্গে জীবনযুদ্ধে নিজেদেরকে যতদিন পেরেছে টিকিয়ে রেখেছিল। উত্তরের ঠাণ্ডা বরফাচ্ছাদিত প্রাকৃতিক পরিবেশকেও তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছিল। এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে পাহাড়, পর্বত, নদী, সাগর অতিক্রম করে তাদেরকেও টিকে থাকতে হয়েছিল।

অন্তত বিশ-পঁচিশ লক্ষ বছর বেশ কয়েকটি প্রজাতি প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই টিকেছিল। কিন্তু তাদের তখন অভিজ্ঞতা ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষা ছিল না। সে কারণেই আমাদের পূর্ববর্তী ঐসব প্রজাতির মানবরা তাদের বংশ টিকিয়ে রাখতে পারেনি। আমরা বুদ্ধিমান মানব। ভাষা, সংস্কৃতি, কর্ম উদ্ভাবনের মাধ্যমে মাত্র এক লাখ বছরের মধ্যেই আমরা আজকের এই পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। তবে গত প্রায় তিন হাজার বছরে লেখালিখির উদ্ভাবন, পড়াশোনা, জ্ঞান, বিজ্ঞান দিয়েই মানবসভ্যতার যে অবিস্মরণীয় পরিবর্তন ঘটিয়েছি তা দিয়েই কেবল প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে মানুষের জন্য সহনীয়, বরণীয় এবং গ্রহণীয় করে তুলতে হবে। সেই কাজটি করতে মৌলিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

সনদধারী শিক্ষা আমাদেরকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে টেনে নিয়ে যাবে; সেখান থেকে আমাদের বের হয়ে কিছু করার কোনো সুযোগ থাকবে না। সেজন্য প্রয়োজন হচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণ এবং টিকে থাকার বাস্তবতার জ্ঞান সৃষ্টি করা। সেই জ্ঞানের আঁধার দেশে ও বিদেশে প্রকৃতি এবং এর ভেতরে ও বাইরে বিরাজমান। পৃথিবীর অনেক জাতি তাদের শিক্ষাকে জ্ঞান অন্বেষণের প্রধান নির্ভরযোগ্য উপায় ও মাধ্যম রূপে ব্যবহার করছে। কিন্তু আমরা সেইসব দেশে গেলে তা দেখি এবং করিও। নিজের দেশে শিক্ষা নিয়ে চলছি একেবারেই পুরাতন ধ্যান ধারণায়। তিন বছর আগে অতিমারি করোনাক্রান্ত পৃথিবীতে উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষাকে একদিনের জন্যও বন্ধ রাখতে হয়নি। গবেষণাও তাদের থেমে থাকেনি। প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা শিক্ষায় কোনো ছেদ ঘটতে দেয়নি। স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা আবিষ্কার করে তারাই করোনাকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করেছে, সাথে সাথে ব্যবসাও করেছে। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা লাভের নানা অজুহাত দেখিয়ে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছি। দুবছর একটি দেশের শিশুশ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আমাদের ছিল না লেখাপড়া, ছিল না গবেষণাও। এরপরের দেড়-দুই বছর কেটে গিয়েছে প্রস্তুতি নিতে নিতে। তাতেও ওজর আপত্তি। এরপর বিশ্বে একাধিক যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি- এসবই সমস্যা হয়ে দেখা দেয় যখন আমরা শিক্ষা-দীক্ষা বা লেখাপড়ার কথা বলি। কিন্তু আমরা কি কেউ খাওয়া-দাওয়া কিংবা ব্যক্তিগত জীবন এই চার-পাঁচ বছর বন্ধ করে রেখেছিলাম। লেখাপড়ার প্রশ্ন আসালেই কেনো নানা ওজর আপত্তি, অজুহাত, বাহানা, সমস্যা প্রধান হয়ে ওঠে? এবার রমজান থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-রাখা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি দেখা গেছে। ঈদের ছুটি পূর্ণ হওয়ার আগেই বেজায় গরম চেপে বসেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না-রাখা নিয়ে আবারও দ্বিধাবিভক্তি দেশের সর্বচ্চো আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমরা টিভি কিংবা অনলাইনে আপদকালীন সময়ে পাঠদানের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা রাখিনি। শিক্ষার ব্যাপারে আমাদের কোনো বিকল্প চিন্তা নেই। কিন্তু কাজকর্ম, আচার-আচরণ, সার্থোদ্ধার, চলাফেরাসহ সর্বক্ষেত্রেই আমরা তো বিকল্প কিছু-না-কিছু করেই আমাদের প্রয়োজনটা পূরণ করার চেষ্টা করে থাকি। লেখাপড়ার ব্যাপারে সেই চিন্তা আমাদের খুব একটা কাজ করে না। কারণ এটি আমাদের মুখ্য নয় বরং একেবারেই গৌণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা যখন ছোটো ছিলাম তখন গ্রীষ্মকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকালে পাঠদানের ব্যবস্থা করতো। এখন সে ব্যাপারেও অনেক জায়গায় যথেষ্ট ওজর আপত্তি আছে। এর ফলে গত চার-পাঁচ বছরে লেখাপড়ার নিয়মিত পঠন, পাঠনের অভ্যাসটি বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থীর জীবন থেকে প্রায় চলে গেছে। এ নিয়ে দুর্ভাবনায় ভোগেন কত সংখ্যক অভিভাবক। কত সংখ্যক শিক্ষক এ নিয়ে বিকল্প চিন্তা করেন? তবে টিউশনি এবং নোট-গাইড বইয়ের বিষয় দুটি ‘শিক্ষার বাজার’ থেকে উঠে যায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর দাবি করেছিল যে এ দুটোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। কিন্তু অস্তিত্ব কতটা আছে বা নেই তা শিক্ষা কর্মকর্তারা খবর রাখেন কি না, রাখলেও মন্ত্রণালয়কে তারা কতটা জানান সে বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলবো। ৫ই মে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টি, উত্তাপ আবার হানা দেবে। এরপর কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ছুটি আসবে, এইসএসসি পরীক্ষাও আসবে । এর কিছুদিন পরই লা-নিনোর প্রভাবে ঝড় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ৩০শে জুন এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। গেল বছর যারা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে। শিক্ষাজীবনে এতবড়ো বিরতি পৃথিবীর অন্যত্র খুব একটা দেখা যায় না। অনেক শিক্ষার্থীই এই সময়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে দৌড়াচ্ছে । কোচিং সেন্টারগুলোও এই সময় শিক্ষায় বিকল্প বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলতে কারো কোনো আপত্তি নেই, এমনকি অভিভাবকদেরও আপত্তি নেই। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে গেলেই অভিভাবক ও শিক্ষকদের নানা ধরনের কথা শুনতে হয়। দেশের শিক্ষাক্রম নিয়ে কত ‘বিশেষজ্ঞের’ কথা গণমাধ্যমে আমাদের শুনতে হয় তেমনটি পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না বলতে পারবো না। পরীক্ষা নিয়েও নানাজনের নানা মত। কিন্তু আসলে শিক্ষাব্যবস্থায় যেসব পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে সেগুলোর মূল্যায়ন যথার্থ হচ্ছে না যে একথা সবাই চেপে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষাগুলো আসলেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের যে পর্বত সমান ওজন কাঁধে নিয়েছে বোর্ডগুলো সেটি যে তাদের ঘাড় ভেঙে অনেক আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে তা কেউ যেন তলিয়ে দেখতে রাজি নন। পরীক্ষাগুলো হয় সবাইকে খুশি করার জন্য, উত্তরপত্র মূল্যায়নের নামে অতি মুল্যায়িত অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে সেটি বুজতে কি কারো নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে? সবাই দেখতে চান পাবলিক পরীক্ষায় পাসের বাম্পার ফলন, এমনকি সুপার-ঢুপারও। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরাই বুয়েট কিংবা ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে কতটা ‘দক্ষতার’ মুখে পড়ে সেটিও সকলের জানা বিষয়। এখন যেভাবে করোনা, করোনাত্তোর ইউক্রেন, ইসরায়েল যুদ্ধ, বিশ্ব অর্থনীতির টাল-মাটাল অবস্থা, এল-নিনোর উত্তাপ সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। তাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যৎটা কোথায় যাবে, কীভাবে যাবে? আমাদের কোটি কোটি সন্তান কীভাবে বেঁচে থাকবে, তা নিয়ে আমাদের শিক্ষা সচেতন ভাবনাটা কোথায়? আদৌ কি আমরা শিক্ষাকে শিক্ষার দর্শন দিয়ে দেখবো কিংবা ভাববো- সেটি অবশ্যই মৌলিক প্রশ্ন।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক। সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :