আইন ও প্রচারণা কেন বাল্যবিবাহ ঠেকাতে পারছে না

বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক সমস্যা। বাংলাদেশে এর হার ক্রমবর্ধমান। বাল্যবিবাহ আইন প্রণয়ন এবং সচেতনতামূলক প্রচারণার নাগালের বাইরে গিয়ে একটি গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যাটির পটভূমিতে রয়েছে একটি প্রকট প্যারাডক্স- পিতামাতার প্রাথমিক ও বিবর্তনীয় প্রবৃত্তি হলো মেয়ে বা ছেলে সন্তানদের রক্ষা করা এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাল্যবিবাহের মতো একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এই আপাতঃদ্বন্দ্ব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করে। কোন কোন বিষয় অভিভাবকদের বাল্যবিবাহের মতো অনিশ্চিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে প্ররোচিত করে। কীভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের সন্তানদের মঙ্গল নিশ্চিত করার সহজাত আকাঙ্ক্ষার সাথে অন্যান্য বিষয়কে সমর্থন করে? এই বাল্যবিবাহ সংকট ও সমাধানের পথ অনুসন্ধান করতে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (IID) সাম্প্রতিক গবেষণায় চোখ বুলিয়ে নিই এবং তা পরীক্ষা করি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০২৩, গত তিন বছরে বাল্যবিবাহের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি প্রকাশ করেছে। ২০২২ সালের রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে, ৪০.৯ শতাংশ নারী ১৮ বছর বয়সের আগেই বিবাহিত হয়েছিল, যা ২০২১ সালে ৩২.৪ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৩১.৩ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NIPORT) দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০২২, অন্যদিকে, আরও প্রকাশ করে যে, দেশের অর্ধেকেরও বেশি মেয়ে তাদের ১৮তম জন্মদিনের আগে বিয়ে করে। আইনানুযায়ী বাল্যবিবাহ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রাখি।
বাল্যবিবাহ অর্থ হচ্ছে এমন বিবাহ যার কোনো এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক। অর্থাৎ ২১ বৎসর পূর্ণ করেননি এমন কোনো পুরুষ এবং (কিংবা) ১৮ বৎসর পূর্ণ করেননি এমন কোনো নারী যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তখন তা বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে Child Marriage Restraint Act, 1929 বাতিল পূর্বক সময়োপযোগী করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেন।
এই আইনের ৭ ধারায় বাল্যবিবাহ করার শাস্তির বিধান উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। আরও বলা আছে যে, যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করেন তবে তিনি অনধিক ১ মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তিকেও এই আইনের আওতায় আনা যাবে।
এই আইনের ৮ ধারা অনুসারে, ‘পিতা-মাতা, অভিভাবক অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হইয়া বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে কোনো কাজ করিলে অথবা করিবার অনুমতি বা নির্দেশ প্রদান করিলে অথবা স্বীয় অবহেলার কারণে বিবাহটি বন্ধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
বাল্যবিবাহ সম্পাদনকারী বা পরিচালনাকারীও অপরাধী হিসেবে গণ্য হবে। এই আইনের ৯ ধারাতে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
এই আইনের বিধান মোতাবেক বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের জন্য বিবাহ নিবন্ধনের শাস্তি, লাইসেন্স বাতিল ইত্যাদির পাশাপাশি কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ২ বৎসরের মধ্যে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
বাল্যবিবাহ নিঃসন্দেহে নেতিবাচক ফলাফলের অগণিত দিক সূচনা করে। যেমন-শিক্ষাগত অগ্রগতিতে বাধা দেয়। স্বাস্থ্যের সাথে আপস করে এবং ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সুযোগ সীমিত করে। কিন্তু এটি কি তাদের সন্তানদের বেঁচে থাকা এবং সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য পিতামাতার বিবর্তনমূলক চালনার বিরুদ্ধে নয়?
উত্তরটি হতে পারে বাবা-মায়ের নেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত এবং যাদের মধ্যে সম্ভাব্য আইনি প্রতিক্রিয়া ও জটিলতা অর্থ্যাৎ জেল-জরিমানার ভয় সত্ত্বেও গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে। পিতা-মাতা মেয়েদের বিয়ে দেয় শুধু তাই নয় বাল্য বিবাহ কখনও কখনও রাতের আড়ালে বিচ্ছিন্ন নৌকায় ও হতে দেখা যায়। আর এটি করা হয় আইনী ঝামেলা এড়াতে।
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে এই হতাশার কথা তুলে ধরা হয়েছে, যাতে দেখা যায় যে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় 88টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য মহিলা অধিদপ্তরের প্রচেষ্টা ছিল তা সত্ত্বেও, আশ্চর্যজনক ৭৪ শতাংশ মেয়ের পরবর্তীতে গোপনে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছিল। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বাল্যবিবাহের হার আইন প্রণয়ন এবং সচেতনতামূলক প্রচারণার নাগালের বাইরে একটি সংকটকে চিহ্নিত করেছে।
তাহলে, কেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ২০১৭ এবং বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) সত্ত্বেও, এই সমস্যাটি বিদ্যমান?
তিন হাজার টিরও বেশি অভিভাবকের উপর আইআইডির জরিপে বাল্যবিবাহের পেছনে কারণগুলোর উপর আলোকপাত করেছে। একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্থ্যাৎ ৩৯ শতাংশ প্রাথমিক কারণ হিসাবে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাবকে উদ্ধৃত করেছে, ১৭ শতাংশ মনে করে রাস্তায় দুর্বৃত্তদের দ্বারা হয়রানি, ১৬.৪ শতাংশ মনে করে, পারিবারিক সম্মান রক্ষার তাগিদ এবং ৫ শতাংশ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ভয় ভেবে বাল্যবিবাহে সামিল হন। অধিকন্তু, ৩২ শতাংশ পিতামাতা একটি চালিকা শক্তি হিসাবে সামাজিক নিয়মের দিকে নির্দেশ করেছেন, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে ৭ শতাংশ মানুষ, পরে একটি উপযুক্ত ম্যাচ সুরক্ষিত করার বিষয়ে উদ্বেগ এবং ৯.৭ শতাংশ মনে করে বয়স্ক মেয়েদের জন্য বর খুঁজে পেতে অসুবিধা এবং ৮ শতাংশ দারিদ্র্যও কে দায়ী করে, ২৪ শতাংশ পিতামাতা বাল্যবিবাহের প্রধান কারণ হিসাবে আর্থিক অসুবিধাকে চিহ্নিত করেছেন।
এটি হতাশার বিষয় যে, সন্তানের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামগ্রিক কল্যাণের জন্য গভীর নেতিবাচক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও পিতামাতা তাদের সন্তানদের বাল্যবিবাহকে সুরক্ষার উপায় হিসেবে বিয়ে দিয়ে থাকে যা সত্যি দুঃখজনক।
বাল্যবিবাহের মতো এই জাতীয় সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রচলিত আইনি পন্থা, সাজা ও জরিমানা এবং সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা মূল কারণগুলো সমাধানের জন্য অপর্যাপ্ত। শুধু অভিভাবকদের আইনি বিচারের আওতায় আনা এবং কম জরিমানা ও সাজা কোনোভাবেই বাল্যবিবাহ রোধ সম্ভব নয় বরং একটা সংঘবদ্ধ চক্র গোপনে বাল্যবিবাহের চর্চা অব্যাহত রাখে। শহরাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও যৌন হয়রানির বিষয়টি সুরাহা না থাকায় গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব স্পষ্টভাবে প্রকট হয়ে ওঠে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারা সংশোধন করার সুপারিশ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আইনের ১৯ ধারা সুনির্দিষ্ট না হয়ে পরিধির ব্যাপকতার কারণে বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করতে পারে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭–এর ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।’
মানবাধিকারকর্মীরা এই ধারাটির বিষয়ে অনেক আগে থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এই ধারার ফলে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তারা। ‘বাল্যবিবাহের ছোবলে পড়ে নারীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহের কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় এসেছে, অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে প্রায় ১৯ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২৫ ভাগ বাল্যবিবাহ হয়। এছাড়া কম বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুকের পরিমাণ কম দিতে হয় বলে মনে করেন মা-বাবা।
‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় নেতা ও ধর্মীয় নেতাদের বেশি করে সম্পৃক্ত করা জরুরি। এছাড়া বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় যে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট না হয়ে পরিধির ব্যাপকতার কারণে বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করতে পারে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের এই ধারা সংস্কারের প্রস্তাবটি ফলপ্রসু হতে পারতো।
বাল্যবিবাহের কারণে অন্যান্য আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতা, যেমন মাতৃমৃত্যু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের ঝরে পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। সে জন্য বাংলাদেশ সরকার মেয়েশিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ করার জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন করা বেশি জরুরি ।
বাল্যবিবাহ রোধে আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে যাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা রক্ষা করে। এর মধ্যে হয়রানিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের রাজনৈতিক সুরক্ষা ভেঙে দেওয়া উচিত। স্কুলে, রাস্তায় এবং বাড়িতে মেয়েদের নিরাপত্তাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। উপরন্তু, সামাজিক প্রচারাভিযানের লক্ষ্য হওয়া উচিত বাল্যবধূর ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা এবং উপস্থাপনায় পরিবর্তন আনা। পাশাপাশি দারিদ্র্যের অন্তর্নিহিত ইস্যুটিকে বাল্যবিবাহ মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে সম্বোধন করা। এই সংকটময় মুহূর্তে অগণিত যুবতীর মঙ্গল এবং আমাদের জাতির ভবিষ্যত দিক বাল্যবিবাহ কতটুকু রোধ করতে পেরেছি তার মধ্যে আটকে আছে।
আজকের কর্ম আগামীকালের সমাজ ও নিজ নিজ মর্যাদা নির্ধারণ করবে। আসুন আমরা বিদ্যমান সমস্যা ও কৌশলগুলো পুনরালোচনা করি। এমন একটি পথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই বা এমন সমাজ বিনির্মাণ করি, যে সমাজ ব্যবস্থা বাল্য বিবাহের কালোছায়া থেকে দূরে নিয়ে যায়। পরিশেষে এমন একটি ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাই যেখানে প্রতিটি মেয়ে তার পূর্ণ সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীনতা করে সকল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং নিজেদের জীবনকে উপভোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে।
লেখক: কলামিস্ট, আইন গবেষক (পিএইচডি অধ্যায়নরত)।

মন্তব্য করুন