অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের ওপর মির্জা ফখরুলের পূর্ণ আস্থা প্রকাশ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আজকে একটি পত্রিকায় একজন সাবেক সচিবকে (নাম উল্লেখ না করে) কোড করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, উনি বলেছেন যে, আটজন অ্যাডভাইজর নাকি করাপশনের সাথে জড়িত এই ধরনের একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে।
আমি বলতে চাই, হুইচ ইজ নট আওয়ার্স। এটার সাথে আমাদের (বিএনপি) কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং তাদের ওপর আস্থা, তাদের ইনটিগ্রেটির ওপর আমরা আস্থা রাখি।
প্রথম আলোসহ কয়েকটি পত্রিকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে ৮ উপদেষ্টা নিয়ে বক্তব্য এসেছে।
এই বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি শুনেছি একজন সাবেক সচিব যদি উনি এই ধরনের কথা বলে থাকেন সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটার সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই।
আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই ওই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণভাবে উনার নিজের। দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
গতকাল রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের এক সেমিনারে এ অভিযোগ করেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আব্দুস সাত্তার। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।
আব্দুস সাত্তার বলেন, জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, তবু ব্যবস্থা হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নূরজাহান বেগমের মতো ব্যক্তির কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালানো উচিত? কিংবা অভিজ্ঞতা ছাড়াই স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া—এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যৌক্তিক কি না?
(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/জেবি)

মন্তব্য করুন