ধর্ষণের মামলা করায় হামলা, ১১ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০১

পাউরুটির প্রলোভন দেখিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৪) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করায় বাদীর পরিবারের উপর হামলা করেছে আসামি পক্ষ। এদিকে ধর্ষণ মামলার ১১দিন পার হলেও একমাত্র আসামি বজলু হাওলাদার গ্রেপ্তার হয়নি। বরং থানায় মামলা করায় বাদীর পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকালে ভূক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ঘটনার শিকার তরুণীর মা গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে কলসিতে করে পানি আনতে বলে। পুকুর পাড়ে গেলে একই এলাকার প্রতিবেশী বজলু হাওলাদার (৪৮) পাউরুটি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি বাড়িতে ফিরে এসে পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি জানায়। সব শোনার পরে ওই দিন দুপুরেই মেয়ের মা সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার ১১ দিন পার হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি একমাত্র আসামি বজলু হাওলাদার। বরং তার পরিবারের লোকজন বাদীর পরিবারকে মারধর করছে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদীর ভাষ্য, ‘আমরা মামলা করায় প্রতিদিনই হুমকি দেয় আসামির লোকজন। গত ১০ সেপ্টেম্বর আমার দুই ছেলে আসামির বাড়ির সামনে দিয়ে আসতে থাকলে আসামির আত্মীয়রা ছেলেদের উপর হামলা করে। আসামির চাচা হালিম হাওলাদার, তার ছেলে হৃদয় হাওলাদার, আসামির ভাই তোতা হাওলাদার, তার ছেলে আমীন হাওলাদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক আমার ছেলেদের বেধম পেটায়। পরে ১২ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেছি। এখন আমাদের মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।’

এ বিষয়ে হামলার শিকার একজন বলেন, ‘এতো দিন গেলেও এখনও মূল হোতা গ্রেপ্তার হয়নি। মাঝে মাঝে এলাকায়ও তাকে দেখা যায়। পুলিশ আসার আগেই আবার চলে যায়। আমাদের দুই ভাইকে মামলা উঠানোর জন্যে অনেক মারছে। এভাবে চললে হয়ত কখনোই আসামি গ্রেপ্তার হবে না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এলাকার প্রভাবশালীরা মামলা উঠাতে বলে। কিন্তু আমরা মামলা উঠাবো না। এলাকায়ও মিটবো না। যা হওয়ার আইনে হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে আসামি বজলু হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বজলুর স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা কিছুই করি না।’

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান মিঞা বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখনও তাকে পাওয়া যায়নি। তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায়ও চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর ওই পরিবারকে মামলা করায় মারধরের ঘটনায়ও মামলা নিয়েছি। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :