চুয়াডাঙ্গায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি মুলাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে ওই নারী আলমডাঙ্গায় থানায় মামলাটি করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাকে আসমানখালী বাজারের একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার মুলাম হোসেনের বাড়ি উপজেলার শালিকা গ্রামে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার রুইতনপুর গ্রামের ওই নারী পার্শ্ববর্তী আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুর কাছে একটি কাজ ঠিক করে দিতে অনুরোধ করেন। মিজানুর কাজ ঠিক করে দেবে বলে আসমানখালী বাজারে আসতে বলে তাকে। পরে ভুক্তভোগী সেখানে মিজানুর রহমান কলুর সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় কলুর সঙ্গে থাকা পার্শ্ববর্তী শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন একটি কাজ ঠিক করে দেবে জানিয়ে ওই নারীকে বাজারের দোতলা ভবনের একটি কক্ষে নিয়ে যায় তারা। এরপর শালিকা গ্রামের মুলাম হোসেন, বন্দরভিটা গ্রামের রিপন, শালিকা গ্রামের হাসান, নাজিরুল, মহেশপুর গ্রামের হাবু ও নান্দবার গ্রামের হামিদুল এবং মিজানুর কলু পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কক্ষে ভুক্তভোগীকে রেখে চলে যায় তারা।
ভুক্তভোগী আরও জানায়, সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মিজান ও রিপন তাকে টাকা দিতে চায়। এসময় তিনি টাকা নিতে না চাইলে তাকে হুমকি দেয় তারা।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, মামলা হওয়ার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি মুলামকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। এছাড়া আসামি মুলামকেও আদালতে পাঠানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/পিএল)