বাংলাদেশে তৈরি দুই মডেলের স্মার্টফোন আনল নকিয়া

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫:১৮
অ- অ+

বহুল প্রতীক্ষিত নকিয়া মোবাইলের ‘জি' সিরিজের দুটি মডেল জি-১০ ও জি-২০ বাংলাদেশের বাজারে আনার ঘোষণা করল এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশ। এই দুইটি সেটই বাংলাদেশের গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির নকিয়া কারখানায় তৈরি করা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার ও ইউনিয়ন গ্রুপ বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ে গঠিত ‘ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড', বিশ্বখ্যাত নকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাংলাদেশে তৈরির জন্য প্রথম কারখানাটি স্থাপন করেছে। দেশের মাটিতে তৈরি মোবাইল ফোন দিয়ে ব্যাবহারকারিদের মন জয় করতে উন্নত প্রযুক্তির এই দুটি সেট বাজারে আনল কোম্পানিটি।

আজ রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ‘বাংলাদেশে তৈরি' নকিয়া ফোনের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।

এইচএমডি গ্লোবালের জেনারেল ম্যানেজার (প্যান এশিয়া) রাভি কুনওয়ার বলেন, 'আজকে আমাদের জন্য আনন্দের একটি দিন। নিঃসন্দেহে বিগত এক বছর ছিল আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, তবে এ সময় আমাদের চিন্তাভাবনা করে প্রস্তুত হয়ে পরবর্তী বড় পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন ও সেখানে সংযোজিত হ্যান্ডসেট-এর উন্মোচন আমাদের যাত্রার একটি মাইলফলক'।

নকিয়া জি সিরিজের ফোনগুলোর ফিচার এত নিখুঁতভাবে সমন্বয় করা যে, ফোনগুলো সমস্যা সমাধানের প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে। জি-১০ এবং জি-২০ উভয় ফোনই তিন দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম, যা এ যাবৎ পর্যন্ত নোকিয়া স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ। নকিয়ার জি ২০ সেট-টি নকিয়া স্মার্টফোনের সিগ্লেচার অ্যানড্রয়েড প্রতিশ্রুতি দ্বারা সমর্থিত, যা একজন ব্যাবহারকারির ডেটা যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে তিন বছর পর্যন্ত মাসিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দুই বছর পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদকরন করে বা আপডেট করে।

আঙ্গুলের ছাপ ও ব্যবহারকারীর ফেইস রিকগনিশনের মাধ্যমে ফোন আনলকের অপশন থাকছে এ দুটি মডেলে। দীর্ঘায়ুর এই দুটি ফোনেরই রয়েছে আকর্ষণীয় ৬.৫ ইঞ্চি টিয়ারড্রপ ডিসপ্লে। বেশি আলোতে দেখার জন্য আছে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ব্যবস্থা।

স্বরণীয় মূহূর্তগুলো ধরে রাখতে চারটি ব্যাক ক্যামেরা সম্বলিত জি-২০ ফোনে আছে পর্যাপ্ত স্টোরেজ, ওজো সারাউন্ড অডিওসহ আকর্ষণীয় ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড এঙ্গেল ব্যাক ক্যামেরা।

নকিয়া জি-১০ মোবাইলে আছে ত্রিপল রিয়ার ক্যামেরা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্বা সম্বলিত শুটিং মোড়, যার মাধ্যমে কম আলোতেও অত্যন্ত ভালো ছবি তোলা সম্ভব। তাই প্রতিটি মুহূর্তই পুরোপুরি নির্ভুলভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

গাজীপুরের হাইটেক সিটি-র ব্লক ৫-এ নোকিয়া ফোনের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিতে গড়া কারখানাটি প্রশস্ত এবং দ্বিতল বিশিষ্ট। একাধিক যাচাই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পণ্যের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়। সর্বোচ্চ মানের পণ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি ফোনকে স্বয়ংক্রিয় ও মানুষের দ্বারা পরিচালিত দুই ভাবে গুনগত মানের পরীক্ষায় পার হয়ে আসতে হয়।

ইউনিয়ন গ্রুপের ডিরেক্টর আলভী রানা বলেন, 'নকিয়ার মতো গ্লোবাল একটি ব্র্যান্ডের অংশীদার হওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানজনক। এইচ এমডি গ্লোবালের নির্দেশনায় ইউরোপীয় মানে আমরা কারখানা স্থাপন করেছি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে নোকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।

শুরুতে কারখানায় প্রতিদিন ৩০০ ফোন সংযোজন করা হবে। দুইটি মোড়কজাতকরণ ও ৪ টি সংযোজনসহ মোট ৬ টি প্রোডাকশন লাইন আছে কারখানাটিতে। নিজস্ব পরীক্ষাগার সম্বলিত কারখানাটি প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোতে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কারখানাটিতে প্রায় ২০০ জন কর্মী রয়েছে।

স্থানীয়ভাবে তৈরি করা নোকিয়া স্মার্টফোন আমদানিকৃত ফোনের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আন্দোলনকে যারা বিতর্কিত করতে চায়, তারা ফ্যাসিবাদকে উসকে দিচ্ছে: টুকু
ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে রূপালী ব্যাংকের প্রথম স্থান অর্জন
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বামা’র প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ 
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনই জীবনঘ‌নিষ্ঠ ক‌বি ছি‌লেন: শিক্ষা উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা