তুরস্কের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসবেন রাশিয়া-ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সামরিক অভিযান শুরুর পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা তুরস্কে প্রথমবার আনুষ্ঠানিক এক বৈঠকে মিলিত হবেন।
বিবিসি জানায়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে উভয় দেশ সাড়া দিয়েছে। আলোচনার টেবিলে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকবেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আগামীকাল ১০ মার্চ উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কয়েক দফা বৈঠকে মিলিত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বিপরীতে ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া, দোহানস্ক ও দনবাসকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি জানায় রাশিয়া। কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই প্রতিটি বৈঠক শেষ হয়।
এর আগে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে মধ্যস্থতার আহ্বান জানালেও সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি তেল আবিব। পরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেলারুশে কয়েকবার রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইউক্রেন।
গত সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকার দেন জেলেনস্কি। তিনি জানান, ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াতে চায় না, তাই ন্যাটোতে আর যোগ দিতে চান না।
এ ছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হলেও জেলেনস্কি আশা করেছিল পশ্চিমা মিত্ররা রুশ হামলা ঠেকাতে সরাসরি সামরিক সহায়তা করবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সামরিক সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের মতে, সামরিক সহায়তা দিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে সামরিক সহায়তা দিলে তা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের শামিল বলে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুতিন।
তাই বাধ্য হয়েই সংলাপের মাধ্যমে সংকটের সমাধানের পথ খুঁজছেন জেলেনস্কি।
(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/আরআর)