সালথায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, বাড়িঘর ভাঙচুর

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৭:১৫

ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতঘর। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মো. পারভেজ মাতুব্বরের সঙ্গে প্রতিপক্ষের ওমর মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জেরধরে রবিবার সকালে উভয় পক্ষের কয়েক সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায় পাশ্ববর্তী কানাইড় গ্রামের কুদ্দুছ শেখ লোকজন নিয়ে এসে ওমর মাতুব্বরকে সমর্থন দিয়ে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষচলাকালে ৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভঙচুর করা হয়।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্য গুরুতর আহতরা হলেন- মুন্নু শেখ, কামাল শেখ, রাজীব শেখ, রিপন শেখ, বাবু শেখ, সেলিম শেখ, আরিফ শেখ, সাকিব শেখ, মোহাম্মদ আলী ফকির, দুলাল শেখ শামীম মোল্যা, আনছার মাতুব্বর, তুহিন শেখ ও শাহীন শেখ। তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাসুয়ারকান্দী গ্রামের স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঝামেলা হয়েছে আমাদের বাসুয়াকান্দী গ্রামে। কিন্ত পাশ্ববর্তী কানাইড় গ্রাম থেকে কুদ্দুস শেখ তার সমর্থকদের নিয়ে এসে আমার বাড়িসহ আমাদর গ্রামের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করল কেন বুঝতে পারছি না।

সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, আমার সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আমার সমর্থকরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকরা তাদেরও মারধর করে। তখন ওখানেই সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে আমার ৭-৮ জন লোক আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে আমার জানা নাই।

বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মিমাংশা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে আমার সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে আমার ১০-১২ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।

সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :