মৌলভীবাজারে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে পুরনো ভোজ্যতেল
মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেলের মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। দেশে তেলের সংকটময় পরিস্থিতিতে রবিবার ভোক্তা অধিকার জেলার তেল মজুদের তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জেলার সাত উপজেলায় সর্বশেষ সাড়ে ১১ হাজার লিটারের মতো ভোজ্যতেল মজুদ আছে। সরকার ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে তেলের সংকট না কাটায় এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
জানা গেছে, ভোজ্যতেলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন তেল কোম্পানির প্রতিনিধির মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা জানালেও সোমবার পর্যন্ত এই তেল বাজারে এসে পৌঁছেনি। এমন অবস্থা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকলে যে কোনো মুহূর্তে তেলের মজুদ শেষ হয়ে সংকট ঘনিভূত হতে পারে।
এদিকে নতুন তেল না এলেও পুরনো ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। প্রতি প্যাকেট পাম তেল ১৯০ টাকা এবং সোয়াবিন ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, রবিবার খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমবাজার, জুগিডর, সিলেট রোড, সেন্ট্রাল রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় তদারকি কার্যক্রম এবং অন্যান্য উপজেলায় ফোন করে ভোজ্যতেলের তথ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সয়াবিনের মজুদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে জানা যায়, ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে অল্প পরিমাণ তেল মজুদ আছে। আবার অন্যের কাছে একেবারেই নেই। ভোক্তার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভোজ্যতেলের পাইকারি বিক্রেতা বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত সামছু ভেরাইটিজ স্টোরে ১ হাজার ৩০০ লিটার, সদর উপজেলায় অবস্থিত মেসার্স সালাউদ্দিন স্টোরে ৩ হাজার লিটার, লিটন এন্টারপ্রাইজে ২০০ লিটার, শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত কুসুম বাণিজ্যালয়ে ১৮০ লিটার ভোজ্যতেল মজুদ আছে।
ভোজ্যতেলের ডিলার বড়লেখার ইমরান স্টোর, কুলাউড়ায় জাহাঙ্গির স্টোর, সদর উপজেলায় ইকবাল এন্টারপ্রাইজ, শ্রীমঙ্গলে মেসার্স কদর আলী স্টোর, বড়লেখায় রাজুল ট্রের্ডাস এই কটি প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে ২০০ লিটার, ৩০০ লিটার, ১৪০ লিটার, ১০০ লিটার, ১ হাজার, ১২০ লিটার তেল মজুদ আছে।
পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের অবস্থিত তেলের ডিলার সরবিন্দু এন্ড ব্রাদার্সে আছে ৪ হাজার ৫০০ লিটার লুজ পাম ওয়েল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন জানান, মৌলভীবাজারে ভোজ্যতেলের সংকট আছে। তবে ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানিয়েছে কোম্পানিগুলো তাদের কাছে থেকে তেলের অর্ডার নিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে তেলের চালান চলে আসবে।(ঢাকাটাইমস/৯মে/এলএ)