বগুড়ায় দুই যুগ পর হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় দুই যুগ আগের পৃথক দুটি হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জে নৈশপ্রহরী হত্যায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন এবং কাহালুতে এক কৃষককে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শিবগঞ্জের নৈশপ্রহরী হত্যার আসামি আফজাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, গুলজার রহমান, আসমা ও আলম ফকির। এদের মধ্যে আলম ও আসমা রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন। কাহালুর কৃষক হত্যার আসামি তসলিম উদ্দিন (৭০)। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিতদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়ার শিবগঞ্জের বিল হামলা গ্রামের একটি চাতালের মোটর ও যন্ত্রপাতি লুট করতে গিয়ে সেখানকার নৈশপ্রহরী আব্দুল জব্বারকে হত্যা করে সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় রাইসমিল মালিক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে এবং পরে দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াছমিন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সাথে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

অপরদিকে, বগুড়ার কাহালুর লক্ষীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট স্থানীয় পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর নামে এক কৃষককে মারপিটের পর কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। পুলিশ পরে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে৷ এরমধ্যে মামলার সময়ে দুজন মারা যান। দীর্ঘ ২৬ বছর পর এ মামলায় তসলিম উদ্দিন (৭০)কে যাবজ্জীন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জল আদালত-২ এর বিচারক মুহাম্মাদ কামরুল হাসান। এছাড়া মামলার অন্য ১৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বগুড়া জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিনয় কুমার বিশু বলেন, দুই যুগ আগের পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরপর উপস্থিত আসামিদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/এলএ)