হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়েই বাদী পক্ষের ওপর হামলা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২২

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের আলোচিত জোড়া হত্যা মামলার প্রধান প্রধান আসামিরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়েই বাদী পক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার বাদীর ভাই জিয়াউদ্দিন সুজনের অভিযোগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কেশবপুর গ্রামের মো. রফিক হাওলাদার (৩৬) ও রাসেল হাওলাদারের (৩৫) নেতৃত্বে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়।

স্থানীয়রা ও মামলার বাদীর ভাই জিয়া উদ্দিন সুজন জানান, বুধবার রাতে আসামি কেশবপুর গ্রামের মো. রফিক হাওলাদার (৩৬) ও রাসেল হাওলাদারের (৩৫) নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল কেশবপুর বাজারে সশস্ত্র মহড়া দেয়। ভোর চারটার দিকে জিয়াউদ্দিন সুজনের কেশবপুর বাজরস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশের একটি কক্ষে হামলা চালায়। ওই কক্ষে সুজন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। হামলার শব্দ পেয়ে সুজন চিৎকার দিলে স্থানীয়রা বাজারে জড়ো হলে হামলাকারীরা সুজনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেশবপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের মাধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে বৃহস্পতিবার বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। হামলাকারীরা এলাকায় অবস্থান করায় কেশবপুর বাজারে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ২ আগস্ট সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজরে খুন হন কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. রকিব উদ্দিন রুমান তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই মো. ইশাত তালুকদার। সুজন নিহত রুমনের বড় ভাই। পরে ওই ঘটনায় নিহতের অপর বড়ভাই মফিজুর রহমান মিন্টু বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হামলাকারীরা ওই মামলার আসামি এবং তারা সম্প্রতি জামিনে এসেছেন।

মামলার বাদী মফিজুর রহমান মিন্টু বলেন, আসামিরা আমার দুই ভাইকে হত্যা করেছে। জামিনে থাকায় এখন আমার অপর ভাই সুজনকে হত্যার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত রফিক হাওলাদার ও রাসেল হাওলাদার বলেন, ওই হামলার ঘটনা জিয়া উদ্দিন সুজন ও মফিজুর রহমান মিন্টুদের সাজানো নাটক। আমাদের জামিন যাতে বাতিল হয়। এর জন্যই এমন নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, আমরা বিষয়টি অবহিত আছি। কেশবপুর ইউনিয়নের আইন শৃংখলার যাতে অবনতি না ঘটে সে জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :