কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৮

কুড়িগ্রামে টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

এক সপ্তাহের বেশিদিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে অবস্থান করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার সব বয়সী মানুষজন।

বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলমান শীত মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন রেকর্ড।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সূর্যের দেখা না মেলায় ঘন-কুয়াশার সঙ্গে উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীতকষ্টে ভুগছে ছিন্ন ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা।

তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় নিম্নগামী থাকায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রামে প্রতিনিয়ত বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি।

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নেওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু, শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন শিশু। এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ রোগী। প্রতিদিন হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত ১৮শ থেকে ১৫শ রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও একই অবস্থা। শীতের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় বাড়তি চাপ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা।

মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত নার্স মোছা. শামসুন্নাহার বলেন, 'গত এক সপ্তাহের বেশিদিন থেকে কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্প্রবাহ চলছে। আমাদের এখানে প্রতিদিন শীতজনিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের বাড়তি চাপ নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।'

শিশু ওর্য়াডে চিকিৎসা নিতে আসা সানজিদা নামের এক অভিভাবক বলেন, 'আমার বাচ্চার বয়স ৭ বছর। গত দুইদিন ধরে ঠান্ডায় সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। আজ ডাক্তার দেখাতে আসলাম।'

ডায়রিয়া ওর্য়াডের চিকিৎসা নেওয়া হাসি বেগম বলেন, 'হাসপাতালে এসেছি ডায়রিয়ার জন্য। আমাদের এখানে কয়দিন থাকি খুব ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে পেটে সমস্যা দেখা দিয়েছে।'

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বলেন, 'শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে আমরা এই রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।'

(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :