হরিণাকুণ্ডুতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্র সংকট, বিভিন্ন কলেজে আসন ফাঁকা

শাহানুর আলম, ঝিনাইদহ
 | প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৫১

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ব্যাপক ছাত্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৬টি কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ৩০০ আসনে ৩৮জন এবং ৭টি কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩৫০ আসনে ৪৫জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। উপজেলার কিছু কিছু কলেজে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এক জন ছাত্র ছাত্রীও ভর্তির আবেদন করেন নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাদশ শ্রেণির অ্যাডমিশন সিস্টেম অ্যাপস থেকে জানা যায়, উপজেলার হাজী আরশাদ আলী কলেজে বিজ্ঞানে কোন ছাত্র ভর্তির জন্য আবেদন করেননি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। এছাড়া সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞানে ২জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৬ জন, পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখায় বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় কোনো আবেদন পড়েনি সব আসন ফাঁকা, প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিজ্ঞান শাখা নেই, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় কোন আবেদন পড়েনি সব আসন খালি, জোড়াদহ কলেজে বিজ্ঞানে ৬জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১০ জন, মানদিয়া আইডিয়াল কলেজে বিজ্ঞানে ৮জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২০জন।

তাছাড়া উপজেলার একমাত্র সরকারি লালন শাহ কলেজে বিজ্ঞান শাখায় ২২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৫জন ছাত্র ভর্তির আবেদন করেছে। সবমিলিয়ে উপজেলায় বিজ্ঞানে ৩০০টির মধ্যে ২৬৮টি আসন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩৫০টির মধ্যে ৩০৫টি আসন খালি রয়েছে। সরকারী কলেজে মাঝে মধ্যে শিক্ষক সঙ্কট থাকলেও বেসরকারী কলেজে বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় প্রতিটি কলেজে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষক রয়েছে।

এছাড়া বিজ্ঞান শাখায় প্রতিটি কলেজে রয়েছে কয়েকজন করে প্রদর্শক এবং বিষয় ভিত্তিক ল্যাব সহকারী। এদিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় সাচিবিক বিদ্যা এবং বাণিজ্যিক ভূগোল বিষয় বিলুপ্ত হলেও হাজী আরশাদ আলী কলেজে রয়েছে অতিরিক্ত ২জন শিক্ষক। উপজেলায় একটি সরকারি কলেজ, ৪টি এমপিও ভুক্ত ও ২টি ননএমপিও ভূক্ত কলেজ রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দু-এক বছরের মধ্যে এমপিওভুক্ত কলেজের বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এমপিও হুমকির সম্মুখিন হবে, তাছাড়া এমপিও বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও প্রাপ্তিও দুরূহ হবে বলে মনে করেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ, গত ৮ডিসেম্বর থেকে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১ম, ২য় এ ৩য় পর্যায়ের আবেদন শেষে সবমিলে ১৬জানুয়ারি আবেদন করা শেষ হয় এবং ২০জানুয়ারি নিশ্চায়ন শেষে ২১ জানুয়ারি ফল প্রকাশিত হয়। ২২থেকে ২৬জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে এবং আগামী ১ ফেব্রয়ারি একাদশের ক্লাস শুরু হবে।

এ বিষয়ে সরকারী লালন শাহ কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান বলেন, বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা মফস্বল কলেজে পড়তে চায় না, জেলা শহরের কলেজগুলোতে পড়তে চায়। তারা মনে করে উপজেলা বা মফস্বল কলেজে পর্যাপ্ত মান সম্মত বিজ্ঞানের টিউটর শিক্ষক পাওয়া যায় না, তাছাড়া অনেকেই বিজ্ঞান নিতে ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, এ বছর সরকারি লালন শাহ কলেজে অনেক নতুন যোগ্য শিক্ষক যোগদান করেছেন। ভর্তি এবছর কিছুটা বাড়লেও আশানুরূপ নয়। আগামী বছর এই অবস্থা উত্তরণের আশাও তিনি করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :