সালথায় আগুনে পুড়ল প্রতিবন্ধীর বসতঘর, পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র

ফরিদপুরের সালথায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মো. জালাল শেখের বসতঘর। শেষ সম্বল মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু চোখের পলকে পুড়ে ছাই হওয়ায় পাগলপ্রায় ক্ষতিগ্রস্ত জালাল। তার কান্না আর ডাক-চিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। আজ সোমবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ভাওয়াল পুর্বপাড়া গ্রামে আগুন লাগার এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী জালাল ওই গ্রামের মৃত হিরু শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাটকাঠির পালা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে জালালের ঘরে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ঘরটি পুরো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশের ঘরগুলো রক্ষা করেন।

জালালের প্রতিবেশীরা জানান, জন্মের পর থেকেই জালাল শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি খুবই গরিব। তবে প্রতিবন্ধী হলেও ভ্যান চালিয়ে সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করে নিজেই খেতেন। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে বাড়িতে ছোট একটি টিনের ঘর তুলেন। পরে আসবাবপত্র বানিয়ে ঘরটি সাজান। বছর দুয়েক আগে আরেক প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ে ওই ঘরে সংসার পাতেন তিনি। তবে কিছুদিন পর তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে ঘরটি সে একাই থাকতো।

ক্ষতিগ্রস্ত জালাল শেখ বলেন, ঘরটি নির্মাণ করতে অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছিল। আর্থিকভাবে আমি খুবই অসহায়। ভ্যান চালিয়ে জীবনযাপন করি। ঘরটি পুড়ে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। এতে আমার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জালালের বড় ভাই বিল্লাল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমরা বাড়িতে না থাকায় কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমাদের পাটকাঠির পালায় আগুন দেয়। সেখান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে আমার প্রতিবন্ধী ভাইয়ের ঘরটি পুরো ভস্মীভূত হয়ে গেছে। তবে কারা আগুন দিয়েছে, সে বিষয় সরাসরি কাউকে দায়ী করেননি তিনি।

সালথা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রাজ্জাক হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পাটকাঠি পালায় সিগারেটের আগুন থেকে লেগেছে। পরে ওই আগুন ঘরটিতে ধরে যায়।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এআর)