নগদের সঙ্গে রেমিট্যান্স বিতরণ বিষয়ক চুক্তি সই করল ব্যাংক এশিয়া
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ক্রস-বর্ডার রেমিট্যান্স সেবা সহজতর করার লক্ষ্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের সাথে একটি রেমিট্যান্স বিতরণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ব্যাংক এশিয়া। এ চুক্তির আওতায়, বিদেশে অবস্থানরত ব্যাংক এশিয়ার অংশীদার এক্সচেঞ্জ হাউস/এমটিও/ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের পাঠানো রেমিট্যান্স সরাসরি সংশ্লিষ্ট নগদ ওয়ালেটে জমা হবে, যা সুবিধাভোগী তার প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য একাউন্টে লেনদেন বা উত্তোলন করতে পারবে।
ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আদিল চৌধুরীর উপস্থিতিতে, ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম ইকবাল হোছাইন এবং নগদ এর চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার জনাব শেখ আমিনুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ০৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এএনএম মাহফুজ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও জনাব আলমগীর হোসেন, এসইভিপি ও ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন প্রধান জনাব মোঃ জিয়া আরফিন, ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগ প্রধান জনাব গোলাম গাফফার ইমতিয়াজ চৌধুরী এবং নগদের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আমিনুল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জনাব মোঃ শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, হেড অব রেমিট্যান্স অপারেশন জনাব মোহাম্মদ জিয়াউল হক অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আদিল চৌধুরী বলেন “ব্যাংক এশিয়া এবং নগদের মধ্যে শুরু হওয়া এ অংশীদারিত্বে আমি আনন্দিত। ব্যাংক এশিয়া তার পার্টনার এক্সচেঞ্জ হাউস/এমটিও'/ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দুটি নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স সেবা সহজতর করার জন্য (২৪/৭) সাশ্রয়ী ও দ্রæত উপায়ে সুবিধাভোগীর ওয়ালেটে তা বিতরণ করছে।
নগদ এর চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার জনাব শেখ আমিনুর রহমান বলেন "এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, ৭.৫০ কোটি সুবিধাভোগী সরাসরি (২৪/৭) তাদের ওয়ালেটে অর্থ পেতে সক্ষম হবেন এবং সারা দেশে দুই লাখের বেশি নগদ পে-আউট পয়েন্ট থেকে টাকা তুলতে সক্ষম পারবেন।" তিনি আরও বলেন, "নগদের সাথে অংশীদারিত্ব এবং ক্রস-বর্ডার রেমিট্যান্স পেমেন্টে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য আমি ব্যাংক এশিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।"