১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, সেন্টমার্টিনে আর্তনাদ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর ফলে কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ভয়ে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তবে মহাবিপদ সংকেতের এই মুহূর্তে এটি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান।
এদিকে টেকনাফের সেন্টমার্টিনে শুক্রবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। এর মধ্যে শনিবার দুপুরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণায় সেন্টমার্টিন ছাড়ার আকুতি জানিয়ে আর্তনাদ জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
অনেকের অভিযোগ, দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই, ফলে বেশি হুমকিতে সেখানের বাসিন্দারা। এছাড়া সেন্টমার্টিনে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রও নেই।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আবহাওয়া অফিসের বার্তা পাওয়ার পর দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেক মানুষ টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। যারা সেন্টমার্টিন ছেড়ে গেছেন, তাদের অধিকাংশই টেকনাফের বিভিন্ন হোটেলে রাত যাপন করছেন।
আরও পড়ুন: হাতিয়ায় এখনও ঘাটে ফেরেনি অনেক মাছ ধরার ট্রলার, মালিক-স্বজনদের শঙ্কা
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর কিছু লোকজন কান্নাকাটি করছেন এমন খবর স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি টেলিফোনে আমাকে জানিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে কোনো ধরনের ট্রলার পাঠানো সম্ভব নয়। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এসএম)

মন্তব্য করুন