এবারের আন্দোলন গণতন্ত্র হত্যাকারীদের তাড়ানোর আন্দোলন: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বেগম জিয়া যখন ১৬ টাকা দরে জনগণকে চাল দিয়েছেন তখন এ সরকার বলেছিল ১০ টাকা দরে চাল খাওয়াবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কৃষকদের ফ্রি সার দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আজ ৮০ টাকা দরে চাল কেনে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে এ সরকার সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে এবারের আন্দোলন হবে চোর তাড়ানোর আন্দোলন। এবারের আন্দোলন হবে জঞ্জাল মুক্ত করার আন্দোলন। এবারের আন্দোলন হবে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের তাড়ানোর আন্দোলন।’
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চালক দলের আয়োজনে সারাদেশে ভয়াবহ লোডশেডিং ও দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতির প্রতিবাদে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘মানুষ এখন অতিষ্ঠ, মধ্যবিত্তদের জন্য শ্বাসরুদ্ধকর একটি পরিস্থিতি, লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি, কালোবাজারি এখন নিয়মিত ঘটনা’ এমন মন্তব্য করে দুদু বলেন, ‘এমন কোনো জিনিস নাই যেটা সাধারণ মানুষের আয়ত্বে আছে। বিশ্বের চোখে আমরা এখন এক অভাবী দেশ।’
আরও পড়ুন>>লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে মহানগর পর্যায়ে পদযাত্রার ঘোষণা বিএনপির
পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে অসম চুক্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের পাওয়ার প্লান্টের বড় অংশের চুক্তিই ভারতের সঙ্গে। ভারতে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পাওয়া গেলেও আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা এনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা বলা হয়। এমন অসম চুক্তি কিসের ইঙ্গিত দেয় সেটা সবাই জানে।’
তিনি বলেন, ‘আজ পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের মধ্যেও একটা ওলট-পালট অবস্থা শুরু হয়ে গেছে।’
‘প্রধানমন্ত্রী সব জানেন কিন্তু এই ব্যর্থ সরকারকে যে পদত্যাগ করতে হবে সেটা তিনি জানেন না’ উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ইচ্ছামতো তারা চার্জ কাটছে। কিছুই বলা যাচ্ছে না। গ্রামের অনেক জায়গায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। তাহলে এ ব্যর্থ সরকারের থাকার দরকার কী? শুধু নির্বাচনের জন্য নয় তাদের ব্যর্থতার জন্যও এ সরকারের থাকার যৌক্তিকতা নেই। যেখানে আওয়ামী লীগ থাকে সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না।
সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ জিয়া একজনই। তিনি লড়াই করেছেন দেশের জন্য। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করেছিলেন। অথচ শহীদ জিয়াকে আওয়ামী লীগ সহ্য করতে পারে না। আওয়ামী লীগের কিছু রাজাকারই এসব কাজে এগিয়ে থাকে।
দুদু বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে ২০২৩ সালেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের সঙ্গে কোনো সংলাপ নেই। কারণ শেখ হাসিনাকে জনগণ আর বিশ্বাস করে ন। তারা ১৪ ও ১৮ সালে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে।’
‘বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ নয় বরং প্রতিদ্বন্দ্বী’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সঠিক নির্বাচন ও সংগ্রামের মধ্যেই ক্ষমতায় আসব।’
জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবিরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য পিয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম সামছুল হক, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৯জুন/জেবি/এফএ)