করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতি: আজাদ-সাহেদদের বিচারে ধীরগতি
সময়মতো সাক্ষি না আসায় করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় দুর্নীতিতে জড়িত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমসহ ছয়জন আসামির বিচার চলছে ধীরগতিতে। ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে বিচারাধীন এ মামলায় ২২ জুন সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও দুদকের আইনজীবী হজে যাওয়ার কারণে এবার সাক্ষ্যগ্রহণ না-ও হতে পারে। মামলায় একমাত্র সাহেদ বাদে অন্যসব আসামি জামিনে রয়েছেন। রবিবার বিকালে ঢাকা টাইমসকে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকার ষষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দুদকের সহকারী কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘গত ১৮ মে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু আদালতে সাক্ষি না আসায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার কী হবে সেটা আমি বলতে পারছি না। কারণ আমি হজে যাব। আমার কোর্টে একজনকে চার্জে দিয়ে যাব। তিনি কী করবেন সেটা আমি বলতে পারছিন না।’
আরও পড়ুন>>ঢালি কনস্ট্রাকশনকে ৪০৮ কোটি টাকা ঋণ দিতে কোনো নিয়মই মানেনি শাহজালাল ব্যাংক
২০২২ সালের ১৪ আগস্ট মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক শেখ গোলাম মওলা সাক্ষ্য দেন। পরে আরও দুজন সাক্ষ্য দেন। একই আদালত গত বছরের ১২ জুন ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও সাহেদ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। মামলার এজাহারে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে তার জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় চার্জশিটে তাকেও আসামি করা হয়। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন ও বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন রোগীর করোনা নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করান।
তবে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসাবে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক-নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/এএ/এফএ)