নোয়াখালীতে ব্যবসায়ী হত্যা: প্রধান আসামিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাস (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। তার নাম বাদশা (২৮)।
শনিবার ভোরে রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত বাদশা ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর বাদশা পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বাড়িতে যান। এদিন ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত বাদশাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এ ঘটনায় আবদুর রব আবুল (৪০) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ৬০ লাখ টাকার হেরোইনসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
এর আগে গত ১০ জুন শনিবার সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীর পাড় গ্রাম থেকে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল চন্দ্র দাসের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। রাতের কোনো একসময় পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় দুলালকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত দুলাল চন্দ্র দাস ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসএম)