পুলিশি বাধায় শ্বশুর বাড়িতে সাড়ে তিনঘণ্টা অবরুদ্ধ বিএনপি নেতা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২৩, ২৩:০৯

ঢাকার সাভারে ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমকে তার শ্বশুরের বাসভবনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এসময় রাজধানীতে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দেয়ার জন্য পরিবহন হিসেবে আনা বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাসের চাবিও আটকে রাখার অভিযোগ করেন তারা।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানায়, বুধবার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিএনপি। সেখানে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল তারা। সকাল ১০টার দিকে বেশকিছু মাইক্রোবাসসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে বের হওয়ার কথা ছিল ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের।

এ জন্য সকালেই জেলা বিএনপির এই নেতার অবস্থানরত তার শ্বশুরের বাসভবনে সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় সমাবেশে যাবার জন্য এনে রাখা বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাসের চাবিও নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। পরে প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে ফিরে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রদল নেতা আবিদ হাসান নাফি ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা যাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দিতে না পারে সেজন্য আজ সকাল ১০টার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশের ৩টি পুলিশ ভ্যানে করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্য খোরশেদ ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। এবং সোসাইটি গেটে তাদের ভ্যানগুলো এমনভাবে রাখে যাতে ভেতর থেকে আমাদের গাড়ি বের না হতে পারে। পরে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য খোরশেদ ভাই যেই বাড়িতে ছিলেন সেটির মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন এবং ওই বাসা থেকে কোন নেতাকর্মীদের বের হতেও দেয়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে মো. খোরশেদ আলম মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসকে বলেন, নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ৭০টি হাইয়েস গাড়ি ভাড়া করা হয়। সকাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটির ফটকে নেতাকর্মী ও গাড়িগুলো জড়ো হতে থাকে। বেলা ১০টার দিকে সাভার মডেল থানার পুলিশ গাড়িগুলো আটকে ১৪টি গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। তারা আমাকেও বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ চলে যায় এবং যাবার সময় গাড়ির চাবিও চালকদের ফিরিয়ে দিয়ে যায়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সারাদিনই সাভারের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে কাজ করছেন। সেই কাজের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় পুলিশ যেতে পারে। তবে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগটি একদমই সত্য নয়। তিনি (খোরশেদ) হয়তো নিজেই সমাবেশে যেতে চাননি বলে বাসা থেকে ইচ্ছে করেই বের হননি।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :