বন্যার পানিতে তলিয়ে গেল বিকল্প সেতু, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে এক কিলোমিটার দূরে নীলকমল নদের উপর নির্মাণাধীন সেতুর পাশে বিকল্প একটি সেতু বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার ফুলবাড়ী, বড়ভিটা ইউনিয়ন ও ভাঙ্গামোর ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলা গাছের ভেলায় নদ পারাপার হচ্ছেন।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর কাজ শুরু করে ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ শেষ করার কথা। তবে সড়ক বিভাগ বলছে, কাজের যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে।
এদিকে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগোলেও গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে বিকল্প অস্থায়ী সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার সদরের সঙ্গে সরাসরি যানচলাচল।
স্থানীয় মাহফুজ মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সেতুটি দায়সারাভাবে করা হয়েছে। তাই বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শত শত মানুষ। বর্তমানে এখানে কলা গাছের ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে অনেকে।
আরও পড়ুন: পুকুরের পানিতে ভাসছিল বৃদ্ধার লাশ
কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আজকে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। আচমকা পানি বৃদ্ধির ফলে বিকল্প সেতুটি তলিয়ে গিয়ে মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল থেকে পানি কিছুটা কমছে। আমরা আশা করছি দু-তিন দিনের মধ্যেই সেতু থেকে পানি নেমে যাবে। আর যদি পানি নেমে না যায়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এসএম)

মন্তব্য করুন