পছন্দের গাইড না কেনায় শিক্ষকের থাপ্পড়ে রক্তাক্ত কলেজছাত্র, হাসপাতালে ভর্তি

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৭:৪৭| আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ১৮:০৭
অ- অ+

শিক্ষকদের পছন্দের গাইড বই না কেনায় ক্লাসে এক থাপ্পড় দিয়ে কলেজছাত্রের কান ও ঠোঁট ফাটিয়ে দিয়েছে এক শিক্ষক। এতে শিক্ষার্থীর কান-ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝড়েছে। এখন আহত শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অমানবিক কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন চাঁদপুরের ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস।

রবিবার দুপুরে এইচএসসি পরিক্ষার্থীদের বিশেষ কোচিংয়ের ক্লাস ১১টা ৩০ থেকে ১২টার মধ্যে কলেজে ইংরেজি ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস এর বিরুদ্বে শিক্ষার্থীর অভিভাবক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মডেল সূত্রে ও শিহাবের পরিবার থেকে জানা গেছে।

আহত মো. শিহাব খান সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের শুকুর উল্লাহ খানের ছেলে। তিনি ফরক্কাবাদ কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার রোল নং- ২০৩৫।

দ্বাদশ শ্রেণির ফজলে রাব্বি, শরীফ আহমেদ, হৃদয় চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন জানান, পাঞ্জেরী গাইড না কেনার কারণে দিলীপ স্যার শিহাবকে তার টেবিলের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। পরে হঠাৎ দিলীপ স্যার শিহাবকে সজোরে একটি থাপ্পড় দেন। সঙ্গে সঙ্গে শিহাবের ঠোঁট ও কান ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে এবং সে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরে মেঝেতে পড়ে থাকা তাজা রক্ত শিক্ষক দিলীপ তার জুতা দিয়ে মুছে ফেলেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন এ ঘটনা মোবাইলে ধারণ না করে সেজন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র। তিনি বলেন, এ ঘটনার কোনো ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, গাইড বই শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট করে দিতে সারা দেশের প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে চুক্তি করেন গাইড বই বিক্রেতা মালিক পক্ষ। আর এতে করে নানা লোভে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় নামে বেনামের গাইড বইগুলো।

এ বিষয়ে ফরক্কাবাদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাসের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সে ক্লাসে অমনোযোগীভাবে থাকে। তাকে শাসন করতে গিয়ে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। তবে এটা আমার ঠিক হয়নি বলে আমি বুঝেছি। তবে শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা