দক্ষিণাঞ্চলে রেল যোগাযোগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে: রেলমন্ত্রী

ঢাকা থেকে পদ্মা রেল সেতু দিয়ে ফরিদপুরের ট্রেন নিয়ে আসেন রেলমন্ত্রী নুর ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে ভাঙ্গা জংশনে পৌঁছায় স্পেশাল ট্রায়াল ট্রেনটি। প্রায় ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ পাড়ি দিতে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে ট্রেনটির।

ফরিদপুরে এ সময় রেলমন্ত্রী স্বাগত জানান, ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাজাহান প্রমুখ।

ভাঙ্গার রেল জংশনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প আগামী ১০ অক্টোবর উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী তারিখ দিয়েছেন। এই রেললাইন উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জীবনযাত্রা সহজ হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে দেশের। পাশাপাশি দক্ষিণ প্রতি অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এই রেলওয়ে এবং ট্রেন আধুনিক বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। এটা বাংলাদেশের প্রথম এবং সেটি করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।

এরআগে, সকাল ১০টা ৭ মিনিটে কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে ট্রেনটি ছেড়ে আসে। বেলা ১১টা ২৬ মিনিট পদ্মা সেতুতে ওঠে ট্রেনটি। এরপর ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে ৬.১৫ কিলোমিটার সেতু পার হয় ট্রেনটি।

পরীক্ষামূলক যাত্রার প্রথম এই ট্রেনটি চালিয়েছেন লোকোমাস্টার হিসেবে এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে এম এ হোসেন। আর গার্ড হিসেবে ট্রেন পরিচালনা করেছেন আনোয়ার হোসেন।

পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে পর্যবেক্ষণ করেছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন, মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মাজিদ, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং রেলওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/০৮ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)