সালথায় নির্বাচনের ৬ দিন আগে প্রতীক পেলেন দুই প্রার্থী

হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। একই সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামানকেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের মাত্র ৬ দিন আগে বুধবার (১৫ মে) বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে প্রতীক তুলে দেন রিটানিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াসিন কবির।
চাহিদা অনুযায়ী ওয়াদুদ মাতুব্বর পেয়েছেন আনারস প্রতীক আর ওয়াহিদুজ্জামান পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক।
এদিকে দেরিতে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ায় দুই প্রার্থীই প্রচার-প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র পাঁচ দিন। বুধবার বিকাল থেকে আগামী ১৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণার সুযোগ পাবেন তারা। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গত ২মে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ২১মে এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, ওয়াদুদ মাতুব্বর বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন। অপরদিকে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামানও মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাইকালে নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থাকায় ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও তার মনোনয়নপত্র ফিরে পাননি। যে কারণে একক প্রার্থী হিসেবে প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে গত ১ মে ওয়াহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অন্যদিকে মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ওয়াদুদ। ওই রিট আবেদন গ্রহণ করে গত ১৩মে বিকাল ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এরপর বুধবার বিকালে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন তিনি ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ফলে তাদের দুই জনকেই ভোটের মাঠে লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে। তবে প্রচারণার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র পাঁচ দিন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তবে সব ষড়যন্ত্রের অবসান হয়েছে। অবশেষে আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। প্রতীকও পেয়েছি। প্রচার-প্রচারণার মাত্র কয়েকদিন পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে এই কয়দিন প্রচারণা চালিয়েই বিজয়ী হবো। তবে অপর প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামানের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াসিন কবির বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে উভয় প্রার্থীর চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২১ মে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন