এক মাসে পদ্মায় বিলীন ৫০০ বিঘা ফসলি জমি, নদীপাড়ের মানুষের কান্না

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৮

গত এক মাসে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর নারায়ণপুর, বড় চর বেনীনগর, মহাদেবপুর, কালিতলাসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক বসত বাড়ি ও ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ নদী ভাঙন রক্ষায় স্থায়ীভাবে নদী শাসন ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান এবং নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এই মানববন্ধন করেছেন পদ্মাপাড়ের ভুক্তভোগীরা। সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চর-বেনীনগর পদ্মার চরে মিজানপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, রাজবাড়ী জেলা পদ্মা ও গাড়াই নদীর তীরে অবস্থিত। পদ্মা নদীর ৫৬ কিলোমিটার ও গড়াই নদীর ৩৮ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। পদ্মার ৫৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভাঙন রোধে আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরা সরেজমিনে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজবাড়ী নদীবিধৌত একটি জেলা। গড়াই, হড়াই ও পদ্মা নদীর পাশেই রাজবাড়ী জেলার অবস্থান। প্রতি বছর এ জেলায় বর্ষা মৌসুমের শুরু ও শেষে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে পদ্মাপাড়ের মানুষ তাদের জমিজমা, ভিটেমাটিসহ ফসলি জমি হারায়। ভাঙন রোধে কোনো স্থায়ী সমাধান না করার কারণে প্রতি বছরই মানচিত্র থেকে ছোট হচ্ছে রাজবাড়ী জেলার আয়তন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে মিজানপুর ইউনিয়নের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বক্তারা আরও বলেন, অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে প্রতি বছরই পদ্মার ভাঙন দেখা দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং ভাঙন ঠেকাতে পদ্মাপাড়ে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।

মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নজর মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কুরবান মোল্লা, রাজবাড়ী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান মোল্লা প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :