নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে আটটি দোকান ও দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও দুটি দোকান।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পিতাম্বরপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে এসময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পিতাম্বরপুর বাজারের দোকান-পাট বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায় ব্যবসায়ীরা। রাত ২টার দিকে বাজার পাশ্ববর্তী লোকজন বাজারের কয়েকটি দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় বাজারের পারভেজের মুদি দোকান ও গোডাউনে থাকা কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ও চাটখিল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুনের লেলিহান দেখে আমরা আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের কারণে স্থানীয়রা ভয়ে কাজ করতে পারে নি। আগুনে ৮টি দোকান পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যার মধ্যে একটি গোডাউন, একটি মুদি, দুটি ওষুধ দোকান, একটি চা দোকান, একটি কনফেকশনারি, একটি সেলুন ও একটি ভ্যারাইটিজ স্টোর ছিলো। আগুনে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থপুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পারভেজ, কারণ তার একটি মুদি ও একটি গোডাউন পুড়ে গেছে।
সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সোনাইমুড়ী ও চাটখিল স্টেশনের দুটি ইউনিট প্রায় ৩ ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। দোকানগুলো থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)