রংপুর বিভাগে ৬৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

রেজাউল ইসলাম বাবু, রংপুর
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রংপুর বিভাগের আট জেলার ২০৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে অবৈধ হয়েছে ৬৯ জনের মনোনয়ন। বিভাগের ৩৩টি আসনে মোট মনোনয়ন দাখিল হয় ২৭৮টি।

সোমবার মনোনয়ন যাচাই-বাছায়ের শেষ দিনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈধ ও অবৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ২৭৮ জন মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন। যার বেশির ভাগেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী।

রংপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান মঙ্গলবার দুপুরে জানান, জেলার ছয়টি আসনে মোট ৪৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এর মধ্যে ৩৯ জনের মনোনয়ন বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন।

যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন- রংপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন।

রংপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার, সুমনা আক্তার ও বিএনএফ মনোনীত জিল্লুর রহমানের।

রংপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল বাশার, রংপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার এবং রংপুর-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহবুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাকিয়া জাহান চৌধুরীর।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার ছয়টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩০ জনকে বৈধ এবং ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ।

যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন- দিনাজপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হুসাইন বিপু, দিনাজপুর-৩ আসনে রাসেদ পারভেজ, দিনাজপুর-৫ আসনে ব্রিগেডিয়ার (অব:) তোজাম্মেল হোসেন ও দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত ফিরোজ সুলতান আলম।

কুড়িগ্রাম জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ২৫ জন বৈধ হয়েছেন। বাতিল হয়েছে ১৪ জনের মনোনয়ন। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে কারো মনোনয়ন অবৈধ হয়নি। যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন-কুড়িগ্রাম-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মোছা. শেফালী বেগম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সুফিয়ান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা, জাকের পার্টির মশিউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউজ্জামানর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক খন্দকার। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র শাহ নুর-ই শাহী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব, তৃণমুল বিএনপির আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুল হামিদ, স্বতন্ত্র জোবাইদুল ইসলাম বাদল, স্বতন্ত্র ফারুকুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র মাছুম ইকবাল।

নীলফামারী জেলার চারটি আসনে ৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৭ জনকে বৈধ এবং ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন- নীলফামারী-১ আসনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির করুনাময় মল্লিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান কবির চৌধুরী জনি, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র অধিকারী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা, হুকুম আলী খান, মো. রোকুনুজ্জামান ও বাংলাদেশ কল্যান পার্টির বাদশা আলমগীর এবং নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম।

পঞ্চগড়ের দুটি নির্বাচনি আসনে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে ১৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ও চারজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

যাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতারুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মিল্টন রায় ও মুক্তিজোটের আব্দুল মজিদ।

ঠাকুরগাঁও জেলার তিনটি আসনে ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ১৮ জনকে বৈধ এবং ২ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

যাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তারা হলেন- ঠাকুরগাঁও-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আখতার মোল্লা এবং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. আশা মনি।

গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৩৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন কারণে ১৭ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাতিলকৃত প্রার্থীরা হলেন- গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র মোস্তফা মহসিন, খেলাফত আন্দোলনের হাফিজার রহমান সরদার, আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, এবিএম মিজানুর রহমান ও গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম।

গাইবান্ধা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর, মাসুমা আক্তার, রফিকুল ইসলাম, সাজেদুর রহমান এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু তাহের সায়াদ চৌধুরী। গাইবান্ধা-৩ আসনে জাসদের খাদেমুল ইসলাম খুদি ও স্বতন্ত্র আবু জাফর তৈয়ব।

গাইবান্ধা-৪ আসনে এনপিপির রুমি আকরাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন ও শ্যামলেন্দু মোহন রায় এবং গাইবান্ধা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলি ও এইচ এম এরশাদ।

লালমনিরহাট জেলার ৩টি আসনে ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এদের মধ্যে ১৯ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

যাদের মনোনয়ন অবৈধ হয়েছে তারা হলেন- লালমনিরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান, আব্দুল বাকী ও কেএম আমজাদ হোসেন তাজু। লালমনিরহাট-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ বর্মন, হালিমা খাতুন, জাকের পার্টির রজব আলী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেলাব্বর রহমান এবং লালমনিরহাট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর।

(ঢাকা টাইমস/০৫ডিসেম্বর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :