আচরণবিধি ভঙ্গ: গাজী, এনামসহ আ.লীগের চার প্রার্থীকে সতর্ক করল ইসি
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা-১৯ আসনের আ. লীগের প্রার্থী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানসহ চারজনকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডা. এনাম ও গোলাম দস্তগীর ছাড়াও বাকীরা হলেন- মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও একই আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস ও গাজীপুর ৫ আসনের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি।
গোলাম দস্তগীরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে অস্ত্রধারী কর্মীসহ বহুসংখ্যক সমর্থক নিয়ে বিশাল শোভাযাত্রা করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করে "সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮" এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি মাননীয় নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
চুমকিকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৯ নভেম্বর শোডাউন করে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
ডা. মোহাম্মদ এনামকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, হাজার খানেক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
মৃণাল কান্তি দাসকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বিগত ২৭ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ গোলচত্বর এলাকায় সভা সমাবেশ করেন এবং মোটরসাইকেল ব্যবহার করে শোভাযাত্রা করেন। উক্ত সময়ে শত শত নেতাকর্মী সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হয় যাতে মুন্সীগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় এবং উক্ত এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
চিঠিগুলোতে বলা হয়, ভবিষ্যতে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করার শর্তে আপনাকে পত্র মারফত সতর্ক করারা জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হলো।
(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/এলএম/কেএম)