মে দিবসে দাবি আদায়ে স্লোগানে-মিছিলে রাজপথে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন
মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন সভা করেছে বিভিন্ন শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন, লাল পতাকা, লিফলেট, আর মাথায় ক্যাপ নিয়ে হাজারো শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা এইসব র্যালি, সমাবেশে অংশ নেন।
পুরানা পল্টন মোড় ও কদম ফোয়ারার দিক থেকে স্লোগানে স্লোগানে এসব র্যালি নিয়ে আসতে দেখা যায় তাদের। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা। র্যালি ও সমাবেশে নিজেদের অধিকার আদায়ে ও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরছেন শ্রমিকরা।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে সমাবেশ ও র্যালীর আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস), শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, জাতীয় গগণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, শ্রমিক অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন, গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর সিএনজি-অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ, উত্তরা পূর্ব থানা রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
রাজপথে অবস্থান করা বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শ্রমিকসহ শ্রমিক নেতারা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, বেতন-ভাতা ও মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কমানো, ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধ, নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ, রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যা ও ফরিদপুরে দুই নির্মাণ শ্রমিক হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি উল্লেখযোগ্য।
শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, ‘১৯৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন করেছে। আজকে মহান মে দিবস। পৃথিবীর সব দেশে এই মে দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতিবছরই আমরা এ মে দিবস পালন করি। একটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি সেটা হলো শ্রমিকদের কোনো ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।’
শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘আজকের দ্রব্যমূল্যের উদ্যগতির কারণে শ্রমিকের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সরকার বারবার বলছে উন্নয়নের জোয়ারে বাংলাদেশ ভাসছে। সরকার এখনো শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তার জায়গাটি তৈরি করতে পারছে না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা ৫৩ বছর পরও আমরা শ্রমিকের কষ্ট দূর করতে পারেনি। সরকার বারবার তালবাহানা করছে।’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের শ্রমিক নেতারা বলেন, ‘অনেক শিল্প কারখানায় শ্রমিক নেতাদের ৮ ঘণ্টার অধিক কাজ করানো হয়। চরম মজুরি শোষণের কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হন ওভার টাইম করতে। ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানোর ফলে শ্রমিকদের শরীরের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি বিপর্যস্ত হয় তাদের পারবারিক জীবন।’
(ঢাকাটাইমস/০১মে/এমআই/এসআইএস)