বাংলাদেশ গণতন্ত্র মুক্তির প্রসব বেদনায় ভুগছে: আলাল

বাংলাদেশ গণতন্ত্র মুক্তির প্রসব বেদনায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের জীবনে একটা নব দিগন্ত, নব উন্মোচনের অপেক্ষায় আছে। প্রভাত বেশি দূরে নয়। প্রভাতের আলো ক্রমশ দেখা যাচ্ছে। সে আলোর কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির।’
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরও বলেন, ‘এই সরকারের রাজনীতি করার জন্য কোনো মানুষের প্রয়োজন পড়ে না। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন পড়ে না, কোনো বিরোধী দলের প্রয়োজন পড়ে না। গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান; প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ এবং ধ্বংস করে দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে ভোটগ্রহণ ও ফল প্রকাশ এটা বোঝায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন মানে দেশের সমগ্র মানুষ স্বতঃর্ফূতভাবে তাদের ভোট দেবে এবং তাদের ফলাফল বুঝে নেবে এটাই বোঝায়।’
আলাল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ সরকার যার প্রয়োজন তাকে বুকে নেয় এবং প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর টিস্যু পেপারের মতো ছুঁড়ে ফেলে দেয়। যার প্রমাণ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, যার প্রমাণ দিলীপ বড়ুয়া। যখন প্রয়োজন ছিল ব্যবহার করেছে প্রয়োজন শেষ তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটাই থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যাকে খুশি তাকে কাছে ডেকে নেয় প্রয়োজন শেষ হলে তাকে ফেলে দেয়। তেমনি শফিউল আলম প্রধানকেও এই সরকার প্রয়োজনে কাছে নিয়েছিল এবং তার প্রয়োজন শেষ হওয়ার পর ফেলে দিয়েছিল। এমনকি তাকে কারাগারে অন্তরীণ করেছিল।’
শফিউল আলম প্রধানের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শান্তি কামনা করে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘প্রাচীন গ্রিকে একটি প্রথা ছিল। যারা রাজনীতিবিদ ছিল তাদেরকে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হতো। সেই নির্বাচনের ধারা যদি বাংলাদেশ আনা যেত। সেরকম নির্বাচন যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে এক নাম্বার হতেন শেখ হাসিনা। ১০০ তে ১০০ পেতেন তিনি।’
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।
(ঢকাটাইমস/২০মে/জেবি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন