ভোটারদের রিসোর্টে নিতেন ডিপজল, দেখাতেন টাকার প্রলোভন: নিপুণের আইনজীবী

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিপক্ষ প্যানেলের পরাজিত প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের করা রিটের শুনানি শেষে রবিবার এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেইসঙ্গে নিপুণের আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ডিপজল নাকি নির্বাচনের আগে ভোটারদের রিসোর্টে বেড়াতে নিতে যেতেন। এরপর তাদেরকে দেখাতেন অর্থের প্রলোভন।
রবিবার রিটের রায়ের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান নিপুণের আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক।
তিনি বলেন, ‘শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। উনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নিপুণ আক্তারের অভিযোগ ছিল, বিপরীত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদেরকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করেছেন।’
শাহ মনজুরুল হক জানান, ‘বিভিন্ন রিসোর্টে নেওয়া, বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ানো, টাকার অফার দেওয়া, এমনকি ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগও আছে ডিপজলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগগুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিপুণ আক্তার দরখাস্ত করলে তার প্রেক্ষিতে কমিশন ডিপজলকে একটি চিঠিও দিয়েছিল। সে চিঠিটি ডিপজল নিষ্পত্তি করেননি। তার বিষয়ে কোনো তদন্তও হয়নি৷’
নিপুণের আইনজীবী বলেন, ‘এভাবে নির্বাচন শেষ হলেও ভোট শেষে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। অনেক ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন ভোটারদের জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে যে কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছিল, সব মিলিয়ে দুই দিন আগে আমরা পিটিশন দায়ের করেছিলাম। আজকে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত রুল ইস্যু করেছেন এবং বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ডিপজলের পদের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুজনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকলেও বেশি অভিযোগ ছিল ডিপজলের ওপর। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করেছে।’
এর আগে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ গত ১৫ মে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ। সেখানে তিনি বর্তমান কমিটি বাতিলসহ নতুন নির্বাচনের দাবি তোলেন।
গত ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। পরদিন সকালে ঘোষণা করা হয় ফলাফল। তাতে নিপুণের থেকে ১৬ ভোট বেশি পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হন ডিপজল।
অন্যদিকে নিপুণের প্যানেলের মাহমুদ কলিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন আরেক খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এছাড়াও এই নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের ৮০ ভাগেরও বেশি প্রার্থী বিজয়ী হন।
(ঢাকাটাইমস/২০মে/এজে)

মন্তব্য করুন