এনএসআইয়ের এডি পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক আটক
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হারুন অর রশিদ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। সে নিজেকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হারুন অর রশিদ মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের চুহাত্তর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে।
সোমবার রাতে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের ভুক্তভোগীরা তাকে আটক করে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, হারুন অর রশিদ প্রায় দেড় বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছে নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ তাকে সহজেই বিশ্বাস করে। ভুয়া পরিচয়ে নিজের গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন হারুন। পরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে অন্তত ২৫/৩০ জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া স্বর্ণের ব্যবসার কথা বলে ঘুগী গ্রামের মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘটনার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে হারুন অর রশিদ গত রবিবার রাতে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। খবর পেয়ে কয়েকজন পাওনাদার ওই গ্রামে গিয়ে তাকে ধরে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে নিয়ে আসে। সোমবার সকালে সেখান থেকে প্রতারক হারুন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাওনাদাররা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। কিন্তু পাওনাদাররা হারুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও পরিবারের কেউই আসেনি। পরে পাওনাদাররা ৯৯৯ এ ফোন করে হারুনকে মির্জাপুর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
মির্জাপুর মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা লুবনা আক্তার ও জামুর্কী গ্রামের মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের চাকরি দেওয়ার কথা ১২ লাখ করে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে হারুন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চাকরি দেওয়ার নাম নেই। একই অভিযোগ করেন উপজেলা জুগীরকোফা গ্রামের জাকির হোসেন। বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. ফয়সাল খান প্রতারণার অভিযোগে ৯৯৯ এ ফোন করে থানা পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রামকৃষ্ণ দাস জানান, আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/পিএস)