পৃথিবী: এক জীর্ণা রমণীর ক্রান্তিলগ্ন

পৃথিবীর আরেক নাম সর্বংসহা। তাই কেউ বলে ধরিত্রী মাতা, কেউ বলে জননী বসুধা, বসুমতী। যে নারী সবকিছু সহ্য করে নেয় তাকেই সর্বংসহা বলা হয়। পৃথিবী তাই নারী, মমতাময়ী, স্নেহময়ী। তাই যেন সে এক সরলা দয়িতা। পৃথিবীর বয়স প্রায় ৫০০ কোটি বছর। সুখ সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণা এক নারী। যে তার সমস্ত সম্পদ উপহার দিয়েছে তার ভালোবাসার জনকে। মানুষ রীতিমতো ভোগ উপভোগ করে আসছে তাকে। নিঃশেষিত হয়ে আসছে তার সমৃদ্ধি। একান্ত অনুগত প্রেয়সিনীর মতো উজাড় করে দিয়েছে সব। প্রেয়সিনী তার অন্তর বাহির খুলে দিয়েছে। বিনিময়ে কী পেয়েছে? সে আজ জীর্ণ-শীর্ণ এক কাঙালিনী। তাই আজ তার বুকে প্রতিশোধের অগ্নি। উত্তপ্ত বহ্নিশিখায় সে কি তার প্রেমিককে দাহ করবে না? তার শরীর থেকে অলংকার খুলে পড়েছে, তার শ্যামলিমা, তার লালিত্য হৃত হয়েছে। তার ঐশ্বর্যশালিনী সময় ফুরিয়ে গেছে। অন্দরে-বাহিরে সে আজ জীর্ণ, কলুষিত। সে আজ বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে।
আজ বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা। অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে জলে-স্থলে। মানুষ অন্তরে-বাহিরে অস্থির। যুদ্ধ, হানাহানি ক্ষমতার লিপ্সা, কপটতা মানুষের মনুষ্যত্বকে বিনষ্ট করছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে প্রকৃতির নির্দয় রূপ। স্কুলে পড়ার সময় পড়েছিলাম- ‘বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।’ বিজ্ঞান মানুষকে বেগবান করেছে। অশ্ব বেগে চলছে মানুষ। নিজেকে অতিক্রম করছে সে। সীমানা হারালে মানুষ দিক্ভ্রান্ত হয়। ঊর্ধ্বে ধাবিত হলে নিম্নে ধপাস করে পড়ে।
একপাত্র পানি রেখে দিলে দেখা যায় তা কত শান্ত, স্থির। কিন্তু যখন তাকে তাপ দেওয়া হয় ধীরে ধীরে তার ভেতর থেকে বুদবুদগুলো বের হয়। তাপ বেশি হলে বুদবুদগুলো চঞ্চল হয়ে ওঠে। আরও বেশি হলে ফুটতে থাকে । আজ জীবজগতে অস্থিরতার মূলেও রয়েছে তাপ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে। মানুষ চিরকাল প্রকৃতিকে জয় করতে চেয়েছে। দুুতিন দশক আগেও মানুষ গর্ব করত এই বলে যে- মানুষ প্রকৃতিকে নিজের বশে এনেছে, প্রকৃতিকে জয় করেছে। এ বশ মানানো, বনের বাঘকে বশ মানানোর মতো। আর প্রকৃতিকে জয় করেছে কতটুকু? জয়ের চেয়ে পারাজয় ঘটেছে বেশি। মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে তখন ব্যাপক, বিশাল শক্তিধর কারো নিকট সে নিজের দায়-দায়িত্ব অর্পণ করে আত্মতুষ্ট থাকতে চায়। বিশ্বপ্রকৃতির সাম্প্রতিক যে পরিবর্তন সেক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। মরুভূমির দেশে বন্যা, বৃষ্টি, মরুভূমির বুকে সবুজের শ্যামলিমা এগুলো বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনেরই ফল। কিছু লোক আছে যারা এগুলো কুরআন হাদিসের ভবিষ্যদ্বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা করে। এসকল পরিবর্তন তো ফেরেশতারা এসে ঘটায়নি। মানুষের জন্যই ঘটেছে। আমাদের দেশে সম্প্রতি যে তাপপ্রবাহ চলছে তা আমাদেরই কৃতকর্মের ফল। কৃতকর্ম বলতে অনেকেই বোঝাচ্ছেন আমরা প্রতিনিয়ত পাপ করছি, পাপে অনাচারে দেশটা তলিয়ে গেছে তাই আল্লাহর এমন গজব। মানুষ পাপ তো অবশ্যই করছে। কেননা সমর্পিতা প্রেমিকাকে বলাৎকার করার মতো প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে খুবলে-খুবলে খাচ্ছে মানুষ। সেই হিসেবে আমাদের মতো অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যত পাপ করেছে তার চেয়ে উন্নত দেশের মানুষের পাপের বোঝা কাঁধে নিয়েছে বেশি।
মানুষ সবুজ উদ্ভিদ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে আর উদ্ভিদ কার্বন-ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে। মানুষ যেদিন থেকে আগুন জ্বালানো শিখেছে সেদিন থেকেই পৃথিবীর বায়ুতে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। তবে সে পরিবর্তনের গতি খুবই ধীর ছিল। মানবসভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সেই পরিবর্তনের গতিও বৃদ্ধি পেয়েছে। খনিজসম্পদের ব্যাপক ব্যবহার, নগরায়ণের বিস্তৃতি, যন্ত্র সভ্যতার বিকাশ, শিল্পায়ন, যানবাহন ব্যবস্থার ক্রমোন্নতি ইত্যাদি এই গতিকে ত্বরান্বিত করেছে।
উন্নত বিশ্বের মানুষ নিজেদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য পৃথিবীর বহির্ভাগ ও অভ্যন্তর শোষণ করছে, ভক্ষণ করছে। ভোগ বিলাসিতার দ্রব্য থেকে শুরু করে পৃথিবীকে শাসন করার সমস্ত সরঞ্জাম তৈরি করছে তারা। জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। মানুষ মারার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে তারা। একেকটা রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তি সঞ্চয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
মানুষ নির্দয়ভাবে পৃথিবীর বুক চিড়ে-ফেড়ে তেল, গ্যাস, কয়লা তুলছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করছে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে উচ্চমাত্রার কার্বন থাকে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে পরিবেশদূষণ বেশি ঘটে। গাড়ি, এরোপ্লেন, জাহাজ, রেলগাড়ি চালাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় এবং কলকারখানায়ও এ জ্বালানি ব্যবহার হয়। জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবহারে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। যা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান উপকরণ।
বিদ্যুৎ ছাড়া এখন আমরা অচল। বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমাদের জীবনযাত্রা সর্বদিক দিয়ে আরামদায়ক হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি শক্তি ব্যবহার হয় তাতে নির্গত কার্বন-ডাই অক্সাইড তাপীয় পদ্ধতিতে উৎপন্ন মোট কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমনের ৪০%। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ আহরণ প্রক্রিয়ায় কর্মীদের মৃত্যু হার পারমাণবিক চুল্লীতে কর্মীদের মৃত্যু হার প্রায় সমান।
আমাদের দেশের গ্রামে-গ্রামে ঘরে-ঘরে যেমন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, তেমনই বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের অর্থনীতি যেমন বিকল তেমনই আমাদের আরামপ্রিয়তাও মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। শহরে প্রায় প্রতি বাসায় এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোভেন, একেক বাসায় দুইটা তিনটা করে ফ্রিজ, রুম হিটার আরও কত কী আমাদের জীবনকে সুখময় করে তুলেছে। আমাদের গ্রামের মা-বোনেরাও লাকড়ির চুলায় ফুঁ দিয়ে ফুঁ দিয়ে রান্না করতে চান না। রাইস কুকার, কারি কুকার, সিলিন্ডার গ্যাস, ফ্রিজ, পানি তোলার মোটরসহ নানান বৈদ্যুতিক জিনিস দিয়ে তারাও আরামে থাকেন। মানুষ এখন হাঁটতে চায় না। বিদ্যুৎ চালিত অটো রিকশায় সারা দেশ ছেয়ে গেছে। আবার ওদিকে খনিজ তেল বা পেট্রোলিয়ামের ব্যবহার ব্যাপক। গ্রামের কুঁড়েঘর থেকে আধুনিক সভ্যতার পরিবহণ ব্যবস্থা সর্বত্রই এর অবদান।
আমাদের গৃহস্থালি দ্রব্যের তালিকা থেকে পিতল, কাঁসা, মাটির তৈজসপত্র বহুবছর আগেই হারিয়ে গেছে। এখন প্লাস্টিকের যুগ। বেশির ভাগ আধুনিক প্লাস্টিক জীবাশ্ম-জ্বালানি উদ্ভূত রাসায়নিক থেকে উৎপন্ন হয় এবং শিল্প কারখানাতেই প্লাস্টিক উৎপন্ন হয়। সস্তা, টেকসই হওয়াতে দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার ব্যাপক। এগুলো ব্যবহার শেষে বর্জ্য হয়। যে বর্জ্যের কোনো রূপান্তর নাই, ধ্বংস নাই। পোড়ালেও বিষাক্ত সব রাসায়নিক বায়ুতে মিশে পরিবেশের ক্ষতি করে এবং মানবশরীরে জটিল রোগব্যাধি সৃষ্টি করে। ক্যান্সার, থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের জন্য প্লাস্টিক দূষণ পরোক্ষভাবে দায়ী। এতে স্থলজ ও জলজ দুই শ্রেণির উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হাজার হাজার বছর ধরে সঞ্চিত পর্বত গাত্রের হিমবাহ, পর্বত চূড়ার বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্রের পানির উষ্ণায়ন বাড়ছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি সম্প্রসারিত হয়ে সমুদ্রের আয়তন ও পরিধিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণের ফলে পৃথিবীর মহাসাগরের অম্লতা বৃদ্ধি পায়। এই অম্লতা বৃদ্ধি সমস্ত সামুদ্রিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে, যা ছোটো জীবের পাশাপাশি খোলসযুক্ত জীবের ওপর বেশি প্রভাব পড়ে।
বিশ্বজুড়েই সুপেয় পানির টান পড়ছে। পানির স্তর গভীর থেকে আরও গভীরে চলে যাচ্ছে। নদী নালা, খাল-বিলের দেশ বাংলাদেশ। ছোটো ছোটো নদী এখন বিলুপ্তির পথে। শীত আসতেই নদী শুকিয়ে কাঠ। নদীর গভীরতা নাই, প্রশস্ততা কমে গেছে। ক্রমাগত শিল্প কারখানা স্থাপন, ব্যবসাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, বসতবাড়ি নদীগুলোকে সরু করে ফেলেছে। বর্ষা এলেই নদীগুলো উপচে পড়ে। দেখা দেয় নদী ভাঙন। নদীর নাব্য নাই। ভাটিয়ালির দেশ খ্যাত বাংলাদেশ মরুভূমির দেশে পরিণত হচ্ছে। একসময় পল্লি অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়ির পাশে পাগার-পুকুর বা ডোবা ছিল। দুই তিন দশকের মধ্যেই সেগুলো ভরাট তো হয়েছেই; নতুন করে আর ডোবা খনন হয়নি। খাল-বিল শুকিয়ে ফসলের ক্ষেত হয়েছে, নয়তো সড়ক হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান লক্ষণই হচ্ছে খরা অথবা অনাবৃষ্টি। নদী নালা, খাল বিল, জলাশয়ের জল জলীয় বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়ে আবার বৃষ্টি হয়ে ফিরে আসে। এ সকল জলাশয় না থাকলে বৃষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়।
গাছপালা প্রস্বেদনের মাধ্যমে জলীয়বাষ্প তৈরি করে। সেই জলীয় বাষ্প থেকে বৃষ্টি হয়। বনভূমি হ্রাস পেয়েছে। গাছপালা ফুরিয়ে গেছে। ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগেও গ্রামগুলো জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। জঙ্গল কেটে মানুষ বসতবাড়ি, হাটবাজার, রাস্তা তৈরি করেছে। যত গাছ কাটা হয় তার সিকিভাগ গাছও লাগানো হয় না। যখন সড়কগুলো মহাসড়ক করা হয় তখন নির্দয়ভাবে বর্ষীয়ান বৃক্ষগুলো কেটে ফেলা হয়, কিন্তু মহাসড়ক হওয়ার পর তার পাশে আর নতুন গাছ লাগানো হয় না। অথচ সেসব গাছ মানুষকে ছায়া দিতো, পাখপাখালির নির্ভয় বাসস্থান ছিল। মানুষ গাছ লাগায়। তবে ছায়াময়ী গাছ লাগায় না। যেগুলো দ্রুত বড়ো হবে, কাঠ হবে, বিক্রি করে টাকা পাওয়া যাবে সেসব গাছ লাগায়। যেমন ইউক্যালিপটাস, আকাশমণি, মেহগনি এসব আর কী।
একসময় গ্রামের হাটবাজারগুলো বড়ো বড়ো বট, পাকুড়, অশত্থ গাছের তলায় বসতো। আজ হাটও নাই, সেসব মহীরুহও নাই। সেসব কেটে দোকানপাট বৃদ্ধি করেছে। এখন তো গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় পোল্ট্রি ফার্ম হয়েছে। অনিবন্ধিত, অপরিকল্পিত এসব খামার গ্রামের জনজীবন অতীষ্ঠ করে তুলেছে। গ্রামের ডোবা, পুকুর মুরগির বিষ্ঠায় ভরে গেছে। বাতাসে দুর্গন্ধ, মাছির ভনভন গ্রামের শান্তি নষ্ট করছে। চরম বায়ু দূষণ ঘটছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে জীবনকে সহজ থেকে আরও সহজ, মসৃণ থেকে আরও মসৃণ, ভোগ বিলাসিতার উদগ্র নেশা প্রেতাত্মার মতো মানুষের ঘাড়ে চেপে বসেছে। অদম্য আকাক্সক্ষা, বাসনা আজ মানুষকে বঞ্চিতা প্রেয়সীর মতো পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। ক্ষিপ্ত নাগিনীর মতো সে ছোবল উঁচিয়ে ধরেছে। মানুষ কি পারবে সে ছোবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে?
দিনকে দিন মানুষ লোভী হয়ে উঠছে। মানুষের লোভ চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। নিজের স্বার্থের কথা সর্বাগ্রে ভাবে। একটা পদক্ষেপ ফেলতেও চিন্তা করে তার সেখানে কোনো লাভ আছে কি না। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ, আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব মানুষকে চরম স্বার্থপর করে তুলেছে। আজ আমরা এই উত্তপ্ত দিনগুলোতে একটু ছায়া খুঁজছি। একটু শীতলতা, একটু ঠান্ডা হাওয়া, একটু জিরাবার জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছি। এমন সময় আসবে যেদিন সারা পৃথিবীর মানুষ একটু ছায়া খুঁজবে, জিরাবার জায়গা খুঁজবে। সেদিন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে মানুষ?নীলুফার ইয়াসমিন: লেখক ও সহকারী অধ্যাপক, সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ

মন্তব্য করুন