৯৬০০ বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমারের জান্তা

মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৃহস্পতিবার ৯ হাজার ৬০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
জান্তা-নেতৃত্বাধীন স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইলেভেন মিয়ানমার নিউজ জানিয়েছে, বিভিন্ন কারাগার এবং আটক কেন্দ্রে সাজা ভোগরত মোট ৯ হাজার ৬৫২ জন বন্দীর সাজা মওকুফ করা হয়েছে।
বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি বৃহস্পতিবার তার ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পায় মিয়ানমার।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেয়নি। বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই রাজধানী নেইপিদো, প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তা দমনের চেষ্টা করলেও একসময় বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শাসক বাহিনীর হাতে ৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সীমান্তবর্তী বেশ কিছু শহর দখল করে নিয়েছে জান্তাবিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। সর্বশেষ গত নভেম্বরে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ের কয়েকটি জেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
(ঢাকাটাইমস/০৪জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন