শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উঠিয়ে আনা কঠিন হবে: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮| আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫
অ- অ+

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উঠিয়ে আনা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, কোনো একটা বিরোধী পক্ষ ভোট বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। এতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে উঠিয়ে আনতে কঠিন হবে। তবে আশা করি- ভোটাররা আসবে। আরও ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, সেটা হয়তো দেখতে পারবেন।

শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ট্রেনে আগুন দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যারা হরতাল দিয়েছে (বিএনপি) তারাও বলেছিল তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবে। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটবিরোধী প্রচারণা চালাবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগুন দেখে আমরা দুঃখ ভারাক্রান্ত। কোনো দল যদি এটি করে থাকে এটি অমার্জনীয় অপরাধ বলে মনে করি। নির্বাচন বিশ্লেষকদের অনেকে এবারের নির্বাচনকে সিলেকশন বলছেন, তাহলে এই নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কি কোনো রাজনৈতিক দল? কমিশনের ওপর আস্থা থাকুক বা না থাকুক দলগুলোর মধ্যে আস্থা আছে? কোনো বিশেষজ্ঞ কী বলবেন যে, ১০ বছর নির্বাচন বন্ধ করুন, দলগুলো সমঝোতায় এলে ভোট করুন। তাহলে আমি নির্বাচন বন্ধ করে দেব।

সিইসি আরও বলেন, ইসির একজন কর্মকর্তাও ভোটগ্রহণের জন্য সম্পৃক্ত থাকবেন না। সেই ভোটগ্রহণের মধ্যেই যদি কারচুপি হয়, কিছু দায়ভার আমাদের ওপর আসবে। কেন্দ্রে সবসময় ক্ষমতার অধিকারী প্রিসাইডিং অফিসার। বারবার তার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজেই দায়ভার আপনাকেও (সাংবাদিক) নিতে হবে। কেননা, ভোটকেন্দ্রে মিডিয়ার অবাধ অধিকার থাকবে। তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। স্বচ্ছতা তুলে ধরতে পারলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যেতে পারে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেকে সিলেকশন বলছেন, শুধু সিলেকশন নয় আরও কিছু বলছেন। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করা, রাজনৈতিক বিতর্কে সম্পৃক্ত হওয়া আমাদের কাজ না। এ সংকট রাজনৈতিক।

‘গ্রহণযোগ্যতার কোনো সুস্পষ্ট মানদণ্ড নেই। কেউ বলবেন- গ্রহণযোগ্য হয়েছে, কেউ বলবেন হয়নি। আপনারা দৃশ্যমান করে তোলার চেষ্টা করেন। এতে দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে। গণমাধ্যমের প্রকৃত চিত্র ওঠে আসলেও মানুষ প্রকৃত চিত্র বুঝতে পারবে।’

অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ভোটগ্রহণের সময় ভোটারদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে। বড় দল ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ হলে আমরা কিছু মনে করব না। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলবে, সেটা অপরাধ। এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।

মার্কিন ভিসানীতির বিষয়ে জাপানি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা কমিশনের দায়িত্ব নয়, কে অংশ নেবে। কমিশন সবাইকে আহ্বান জানাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বিশ্বাস করে। যারা এ ক্ষেত্রে বাধা তাদের ওপর এই নীতি প্রয়োগ করবেন। আমরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছি না। আমরা জানি না, কারা আগুন দিচ্ছে, মানুষকে হত্যা করছে। আমরা আমাদের জায়গায় থেকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করছি। আমরা এটা নিয়ে চিহ্নিত নই। কারণ এটা আমাদের বিষয় নয়। ভিসা কী, পাসপোর্ট কী, অর্থনীতি কী তা আমি বুঝি না। এটা বোঝে পররাষ্ট্র দপ্তর।

এই নির্বাচনের পর বিরোধী দল কে হবে, সরকার কে হবে তা জানা, এই পরিস্থিতিতে আপনি বিব্রত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা আমাদের বিষয় নয়। নির্বাচন হলে তারাই সংসদে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ জন্য মোটেই বিব্রত নই।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই- আমরা বিশ্বাস করি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছতামূলক নির্বাচন। স্থানীয়ভাবেই কেবল নয়, আমরা আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ হোক সেটা চাই।

(ঢাকাটাইমস/০৬জানুয়ারি/এসআইএস/

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি হাবিবের ভাই নাদিম হাসান গ্রেপ্তার
প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে: শেহবাজ শরিফ
হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে বাসায় গেলেন ডা. জোবাইদা রহমান
পাকিস্তানের সব বিমানবন্দর ও আকাশসীমা চালু আছে: পিএএ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা