হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে বাসায় গেলেন ডা. জুবাইদা রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে ধানমন্ডিতে নিজেদের বাসায় গেছেন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে গত ২ মে থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ডা. জুবাইদা রহমানের মা বিশিষ্ট সমাজসেবী ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী নেত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।
বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান ডা. জুবাইদা। তার আগে তিনি প্রয়াত বাবা সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ার করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বিএনপির এক নেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিকালে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বের হয়ে জুবাইদা রহমান প্রথমে তার বাবার কবর জিয়ারত করতে বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে নারীদের নামাজ পড়ার নির্ধারিত স্থানে আসরের নামাজ আদায় করার পর বাবার কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর জুবাইদা রহমান ধানমন্ডিতে স্কয়ার হাসপাতালে যান মায়ের কাছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও তার সহধর্মিণীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। সন্ধ্যার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বড় বোন শাহীনা জামানসহ মাকে নিয়ে ধানমন্ডির বাসায় যান জুবাইদা।’
এ সময় বিএনপির নাসির উদ্দিন অসীম ও তার স্ত্রী মেহনাজ মান্নান, আবদুল লতিফ জনি ও তার স্ত্রী, নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপু, মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন। কয়েক বছর আগে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে একটি হাসপাতালে তাকে নেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার লন্ডন থেকে শাশুড়ি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় আসেন ডা. জুবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। গুলশানে ফিরোজায় শাশুড়ির সঙ্গেই থাকছেন তারা।
জুবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন। ২০০৮ সালে অসুস্থ তারেক রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমানও গিয়েছিলেন। এরপর তারেক রহমানের সঙ্গে জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেও তৎকালীন সরকার বিভিন্ন মামলা দায়ের করে। ফলে ১৭ বছর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। ফেরার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ মাকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে মায়ের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ছিলেন জুবাইদা। পরে মাহবুব ভবনেও কিছু সময় কাটিয়ে আবার ফিরে যান ফিরোজায়।
(ঢাকাটাইমস/০৭মে/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন