আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়, তবে রিজার্ভ ভালো আছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৭ | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

আইএমএফের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির প্রাণ হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, সেদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। নিট বা গ্রস—উভয় হিসাবেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, সেটা আমরা পূরণ করতে পারিনি। সেটা কখনো কখনো পূরণ করা যাবে না।

তবে রিজার্ভের অবস্থা ভালো দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশে যত প্রবাসী আয় আসে, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরও দেশের রিজার্ভ ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর আমরা তা কোনোভাবেই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে দেব না। এটা সম্ভব।

এসময় ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদহার আগের পর্যায়ে রেখে দিলে এখন তা ২২-২৪ শতাংশে উঠে যেত। তাতে আমাদের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ হারিয়ে যেত, কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি।’

কিন্তু সুদহার আবার বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সুদহার বাড়ছে, তা ঠিক। বাজার যদি তা নিতে পারে, তাহলে কেন বাড়বে না? কিন্তু সুদহার যখন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা তা বাড়তে দিইনি। কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে পত্রিকা থেকে জেনেছি, তা থাকবে না।’

আবার অর্থমন্ত্রী হলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কে অর্থমন্ত্রী হবেন, তা জানি না। শপথ হলেই তা জানা যাবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে এখনো অনেক অনাবিষ্কৃত খাত আছে, এগিয়ে যেতে হলে আমাদের সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশকে আরও অনেক দূর যেতে হবে, সেটা সম্ভব।’

তখন এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যথাযথ নীতি প্রণয়ন করা না হলে তা কীভাবে সম্ভব; কারণ, নতুন খাত আবিষ্কার করতে যথাযথ নীতির বিকল্প নেই। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা ঠিক। আমরা সঠিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই।’

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট-বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে নতুন সরকারের কোনো পরিকল্পনা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার এখনো গঠিত হয়নি। ফলে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন হবে না। তারা এর আগেও টাকার অবমূল্যায়নের কথা বলেছে; তা না হলে আমরা নাকি টিকতে পারব না। কিন্তু আমরা কি না খেয়ে আছি? বাজার থেকে কোনো জিনিস অবিক্রীত ফেরত আসে?’

মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি কেন, এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি অর্থনীতির জন্য জরুরি। যারা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা করেন না, তারা মূল্যস্ফীতি না চাইতে পারেন।

নতুন সরকারের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, সেই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নতুন সরকার জানে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি। অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৯জানুয়ারি/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :