ভুটানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে

রাজতন্ত্র থেকে ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রবেশের পর বুধবার চতুর্থ পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে ভুটানে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন দেশটির রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) শীর্ষ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
ভুটানের নির্বাচন কমিশনের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৪৭টি আসনের ৩০টিতে জয় পেয়েছে পিডিপি। বাকি ১৭টি আসনে জয় পেয়েছে ভুটান তেন্দ্রেল পার্টি।
অন্যদিকে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং তার রাজনৈতিক দল দ্রুক নিয়ামরুপ শোগপা (ডিএনটি) একটিও আসন পায়নি।
প্রসঙ্গত, ৫৮ বছর বয়সী শেরিং তোবগে একাধারে রাজনীতিবিদ, পরিবেশ আন্দোলন নেতা এবং আইনজীবী। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের দেশ ভুটানের ভুটানের নির্বাচনে দুইটি পর্যায়ে ভোট নেয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুটি দল দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে যদি শুধু দুটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, সে ক্ষেত্রে শুধু একবারই ভোট হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন থেকে দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৪৭ জন আইনপ্রণেতাকে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতরা সরকার গঠন করেন।
ভুটানের আট লাখ মানুষের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। তবে ভুটানি নাগরিকদের জন্য ভোট দেয়া আবশ্যক নয়।
মূলত বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভুটানে নির্বাচন আয়োজনে রয়েছে কঠোর নীতিমালা। আইন অনুযায়ী, শুধু পাবলিক নোটিস বোর্ডে প্রচারণামূলক উপকরণ প্রদর্শন করা যায়। কোনো ধরনের পোষ্টার, ব্যানার বা লিফলেট প্রকাশ সম্পূর্ণ বেআইনি।
সূত্র: এনডিটিভি
(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/এমআর)

মন্তব্য করুন