কনকনে শীতে স্থবির আত্রাই ও বদলগাছী

মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে স্থবির হয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই ও বদলগাছী উপজেলা। কনকনে শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। তীব্র শীতে ঘরের বাইরে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের। দিনের বেশির ভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। শৈত্য প্রবাহের ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন আত্রাই নদীর তীরবর্তী খেটে খাওয়া দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। কর্মহীন থেকে চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন তারা। শীত নিবারণের জন্য তারা ছুটছেন পুরোনো কাপড়ের দোকানে।
আজ সকাল ৯টায় বদলগাছীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। এই তাপমাত্রা চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছেন বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর মো. আরমান হোসেন। আগামীকাল পর্যন্ত এ পরিস্থিতি থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। এর সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলছে অনেকগুণ।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শ্রমজীবী নারী শরপি জানান, খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না-বান্না শেষে কর্মস্থলে আসতে হয়। কিন্তু কয়েক দিনের শীতে তাকে কর্মস্থলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ইটভাটা শ্রমিক শরিফুল ইসলাম জানান, পেটের দায়ে বৃদ্ধ বয়সে শীত উপেক্ষা করে কাজ করছেন ইটভাটায়।
উপজেলার তারাটিয়া ছোট ডাঙ্গা গ্রামের সিএনজি চালক রায়হান আলী বলেন, সকালবেলা গাড়ি নিয়ে বের হলেও শীতের তীব্রতায় লোকজন কম থাকে। এজন্য তাকে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয়।
উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসলে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ এবং ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে আসলে তাকে অতিতীব্র শৈত্য প্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)।

মন্তব্য করুন