তিন পুলিশের বিরুদ্ধে স্বর্ণের বার লুটের অভিযোগ পাচারকারীর, গ্রেপ্তার হলেন সবাই

খুলনায় স্বর্ণের বার লুটের অভিযোগ করেছেন ব্যাসদেব দে নামে এক স্বর্ণ পাচারকারী। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য ও অভিযোগকারীসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খুলনার খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দে, লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা জামান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ। তারা তিনজনই লবণচরা থানায় কর্মরত ছিলেন। তাদের নামে লবণচরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার স্বর্ণ পাচারকারী। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছয়টি স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গিপাড়া পরিবহন নামে একটি বাসে করে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলেন। বাসটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে পৌঁছালে তল্লাশি চালায় অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে বাস থেকে নেমে পালানোর সময় ব্যাসদেবকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। পরে মোটরসাইকেলে করে ব্যাসদেবকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ৩টি স্বর্ণের বার রেখে দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব।
ব্যাসদেবের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বর্ণ পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন