ইইউতে হাঙ্গেরির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব
ইউরোপীয় ইউনিয়নে হাঙ্গেরির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে স্ট্রাসবার্গে জোটের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ইইউর ১২০ জন পার্লামেন্ট সদস্য ইতোমধ্যে এই পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন বলে শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের একজন প্রভাবশালী সদস্য।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা করার বিষয়ে হাঙ্গেরি যাতে বিরোধিতা করতে না পারে সেজন্য দেশটির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এ প্রস্তাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সনদের সপ্তম অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে জোটের মূল্যবোধ ধ্বংস, যেমন- মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমতা এবং আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে যেকোনো সদস্য দেশের ভোটাধিকার বাতিল করার সুযোগ রয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা ২৭ মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ এবং ৭০৫ জন পার্লামেন্ট মেম্বারের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ এই প্রস্তাবকে সমর্থন লাগবে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে ফিনল্যান্ডের সদস্য পেত্রি সারভামা এই পিটিশন দায়েরের উদ্যোগ নেন এবং ১২০ জন পার্লামেন্ট সদস্যের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
সারভামা অভিযোগ করেন, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জিম্মি করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় হাঙ্গেরির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়াই হচ্ছে একমাত্র সমাধান।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছে ইইউ। তবে প্রায়ই এ কাজে বাধা দিয়ে আসছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।
গত মাসে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি বৈঠক বসেছিল। সেখানে ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ৫০ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা প্রদানের ইস্যুটি উত্থাপন করা হলে এতে আপত্তি জানান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। অরবান ‘এই প্রস্তাবে হাঙ্গেরি ভেটো দিচ্ছে’ উল্লেখ করে বৈঠক কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরে আর বৈঠকেই আসেননি তিনি। এছাড়াও ২৭ সদস্যের জোটের আরেক সদস্যরাষ্ট্র সুইডেন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে প্রস্তাবটি আটকে যায়।
(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/এমআর)