কালকিনিতে নৌকার সমর্থকের পুরনো ক্যাম্পে আগুন, চারটি দোকান পুড়ে ছাই

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৩ | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২

মাদারীপুর-৩ আসনের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল-সিড়ি খান সীমান্তবর্তী মিয়ারহাট সংলগ্ন বড় ব্রিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের পুরনো নির্বাচনি ক্যাম্পে শুক্রবার গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই ক্যাম্পসহ চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতির শিকার হয়েছেন মো. মহসিন উদ্দিন খান। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, কালকিনির সিড়ি খান এলাকার বড় ব্রিজ এলাকায় মো. মহসিন উদ্দিন খানের চারটি দোকান রয়েছে। যেখানে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের একটি নির্বাচনি ক্যাম্প ছিল। এতে মাঝে মাঝেই বিরোধী পক্ষের লোকজন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। গেল রাত ২টার দিকে হঠাৎ ওই ক্যাম্প আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। এতে নিমিষেই হোটেল, বিকাশের দোকান, চায়ের দোকানসহ চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কালকিনি থানা পুলিশ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী পরিদর্শণ করেছে। এসময় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত মো. মহসিন উদ্দিন খান বলেন, ‘নৌকার ক্যাম্প দেয়ায় ঈগলের লোকজন আমাকে হুমকি দিয়েছে বেশ কয়েকবার। এখন ঈগলের লোক এমপি হওয়ায় তাদের কোনো কর্মীই আমার দোকানঘর আগুন দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে কালকিনি থানায় অভিযোগ দিবো।’

সিড়ি খান ইউপির চেয়ারম্যান চাঁনমিয়া শিকদার বলেন, ‘নৌকায় ভোট দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটেয়েছে। তবে কে ঘটিয়েছে, সেটা তদন্ত করে বলা যাবে। যারাই এমন নির্মম ঘটনা ঘটেয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমরা নৌকায় ভোট দেওয়ায় এমন নির্যাতন কীভাবে সহ্য করবো। আপনি এসবের শাস্তির আওতায় আনুন।’

তবে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে জেলার পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘কারো সম্পদ নষ্ট করার অধিকার নেই। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

উল্লেখ্য, মাদারীপুর-৩ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম। আর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুস সোবাহান মিয়া গোলাপ। নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে সহিংসতা হয়ে আসছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :