নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট খুন

​​​​​​​নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩০ | প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬
শাহিদুজ্জামান পলাশ ওজি (ছবি-সংগৃহীত)

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শাহিদুজ্জামান পলাশ ওজি (৩৫) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের নির্বাচনি এজেন্ট ছিলেন বলে জানা গেছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাটেশ্বর গ্রামে ওই যুবকের বাড়ির পাশ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শাহিদুজ্জামান পলাশ ওজি ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন পলাশ। ইতোমধ্যে ইতালি যাওয়ার জন্য আবারও টাকা জমা দিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করেন তিনি। নির্বাচনের দিন একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বও পালন করেন।

পলাশের ফেসবুক আইডি দেখে নির্বাচনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সবশেষ মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তিনি 'অল মানিক ভাই' লিখে একটি পাবলিক পোস্ট করেছিলেন। তবে এ হত্যাকাণ্ড নির্বাচনি সহিংসতা নাকি অন্য কোনো ইস্যু তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ বা স্থানীয় লোকজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-২ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক ঢাকা টাইমসকে বলেন, কারচুপির মাধ্যমে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনি কারচুপির লজ্জা ঢাকতে আমার কর্মী, সমর্থক ও এজেন্টদের ওপর নির্যাতন করছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানাতে এ আসনের বিজয়ী প্রার্থী এম মোরশেদ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথায় ভারী কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, পলাশ ওজি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। ঘটনাস্থলে (তার বাড়ির পাশে) একটি মুরগির খামার ছিল, সেটি দেখাশোনা করতে পলাশ এখানে আসতেন। শনিবার বিকালে কিছু মুরগি বিক্রি করার পর খামারে কর্মরত দুই কর্মচারী চলে গেলে পলাশ একাই খামারে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে নিজের স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলেছিলেন। এর পর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :