চবিতে শিক্ষক সমিতি ও প্রশাসনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে।
রবিবার বেলা ১১টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে একদিকে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে'র পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। অন্যদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রায় ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চবি প্রশাসন।
চবি শিক্ষক সমিতি সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও শিক্ষকরা যেখানে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতেন, সেখানে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে যেটা করেছে সেটা দুঃখজনক। এটা আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার একটা ষড়যন্ত্র। উপাচার্য আমাদের আলোচনার কথা বলেন। কিন্তু কার্যত তিনি যে ধরনের উদ্যোগগুলো নিচ্ছেন তা আসলে সাংঘর্ষিক। আমরা কখনও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা আমাদের দাবিতে অটল আছি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, ‘এবারের জাতীয় নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে ৭ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এই উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে এই প্রোগ্রাম করছি। এখানে আন্দোলন বন্ধ বা ভন্ডুল করার কোনও সম্পর্ক নেই।’
এর আগে আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্যের কাছে যায় সমিতি। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন, তবে ওই দিন দাবি না মানায় পরদিন থেকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেন সমিতির সদস্যরা। তিন দিনের টানা অবস্থান কর্মসূচি শেষে চতুর্থ দিন প্রতীকী গণঅনশন করেন তারা। এরপর শীতকালীন ছুটি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এআর)

মন্তব্য করুন